সীতাকুণ্ডে যুবলীগ কর্মী মো. ইউসুফ খানকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে নিহতের পিতা মদিন উল্লাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এতে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, মামলা দায়ের পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মো. সাহেদ (৩৩), মো. কামরুল ইসলাম (৩৩) ও শাহাব উদ্দিন (৩৭) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। এছাড়া জাহেদুল ইসলাম (৩১) ও কামাল হোসেন (২৫) মামলার সন্দেহভাজন আসামি। গ্রেপ্তার আসামিদের গতকাল জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী মদিন উল্লাহ জানান, রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি তার ছেলে ইউসুফ ইট বালির ব্যবসা করতো। মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের সাথে তার ছেলে ইউসুফের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। এরই জেরে আসামিরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত রোববার সন্ধ্যায় আসামি সাহেদ তার ছেলেকে মুঠোফোনে নাস্তা খাওয়ার কথা বলে বটতল পেট্রোলপাম্প সংলগ্ন মৃদুলা হোটেলে ডেকে নিয়ে যায়। নাস্তা খাওয়ার এক পর্যায়ে সাহেদসহ অভিযুক্ত আসামিরা ইউসুফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে ইউসুফ টেবিলের নিচে ঢুকে গিয়েও নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারেনি।
পরে তার মেজ ছেলে নজরুল ও স্থানীয়রা ইউসুফকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে ইউসুফ খুন হয়েছে বলে পরিবার দাবি করলেও সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, খুন হওয়া যুবলীগ কর্মী ইউসুফ খান একজন পেশাদার ডাকাত।
তার বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় ৫টি ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে। ডাকাতির ভাগ-বাটোয়ারা বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে অন্তঃকোন্দলের জেরে সঙ্গীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা।