ভ্যানে করে দোকানে-দোকানে মাল বিক্রি করতেন হাসান। ৪০ বছরের এ যুবক চলতি বছরের শুরুতে তৈরি করেন সেমিপাকা ঘর। আগের দিন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বেড়িয়ে আসেন শ্বশুর বাড়িও। কিন্তু কে জানতো তার মনের কথা।
ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে বের হয়ে আর ফেরেননি তিনি। আজ মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পিছনে পুকুর পাড়ে গাছের ঢালে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল তার প্রাণহীন দেহ। সকালে সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের গোলাবাড়িয়া গ্রামে নিজবাড়ির পিছন থেকে মো. হাসান (৪০) নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যান মো. হাসান। এরপর আর ঘরে ফেরেননি তিনি। সকাল ৬টার দিকে বাড়ির লোকেরা পিছনে পুকুর পাড়ে একটি মেহগনি গাছের ঢালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এলাকাবাসীরা জানায়, ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতেন মো. হাসান। এর মধ্যে চলতি বছরের শুরুতে সেমিপাকা করে নিজবাড়িতে নতুন ঘর তৈরি করেন তিনি। কিন্তু বিগত বছর দুয়েক ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন তিনি।
তবে কিস্তি পরিশোধের জন্য এনজিও কর্মীদের চাপাচাপির কারণেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়।
তারা আরও জানায়, এক ছেলে (৭) ও এক মেয়ে (২) সন্তানের জনক মো. হাসান পাশ্ববর্তী পৌরসভার মহাদেবপুর গ্রাম থেকে বিয়ে করেন। আগের দিন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসেন তিনি।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, অতিরিক্ত ঋণের বোঝা সইতে না পেরে ঐ ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন বলে জানতে পেরেছি। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।