ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের জোয়ারে ভেসে আসা ১৬১টি মহিষ উদ্ধার করে তাদের মালিকের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন কুমিরা ঘাটঘর এলাকায় ৩৬টি মহিষ মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। আজ রোববার আরো ১২৫টি মহিষ মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গত সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ভাষাণচর ও উরিরচর থেকে প্রায় এক হাজার মহিষ ভেসে যায়। এদের কিছু সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারী ও সলিমপুর ইউনিয়নে উপকূলে উঠে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ মহিষগুলোকে জব্দ দেখিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জিম্মায় রাখে। ঘূর্ণিঝড়ের পর উপজেলায় উপকূলীয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাড়বকুণ্ড থেকে ১টি, বাঁশবাড়িয়ায় ২৭টি, কুমিরায় ১৩টি, সোনাইছড়িতে ৪৭টি, ভাটিয়ারীতে ৪৯টি ও সলিমপুর থেকে ২টি মহিষ উদ্ধার করা হয়।
মহিষ হারানোর বিষয়ে মালিকরা গত মঙ্গলবার উরিরচর ও ভাষাণচর থানায় জিডি করেন এবং সীতাকুণ্ড থানায় জিডির কপি জমা দেন। জিডিতে উল্লেখিত মহিষের শরীরের চিহ্ন অনুসারে ৩৬ জন মালিক শনাক্ত করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা চারদিন খুঁজে সীতাকুণ্ডের ৬ ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকা থেকে মোট ১৬১টি মহিষ উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, মহিষগুলোর ৩৬ জন মালিক শনাক্ত করে গতকাল থেকে তাদের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ভেসে আসা মহিষগুলো আমাদের কাছে আমানত হিসেবে ছিল। মহিষগুলো সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় মালিকদের কাছে তুলে দিতে পেরে আমরা স্বস্তিবোধ করছি। অনেকগুলো মহিষ সীতাকুণ্ডের উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারে ভেসে আসে। আরো মহিষ আছে কিনা আমারা সেই বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরা ওই এলাকায় আবারো অভিযান চালাবো।