সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য, নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযাগে বিএনপি–যুবদল–ছাত্রদলের ২৩৭ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ বাদী হয়ে গতকাল বুধবার এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম জহুর, উত্তর জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আওরঙ্গজেব মোস্তফা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল করিম চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন রাজু, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী সেলিম উদ্দিনসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ এপ্রিল যুবদলের সমাবেশে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন সীতাকুণ্ড উপজলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম। এসময় কাজী সালাউদ্দিনের লোকজন অনুষ্ঠানে গিয়ে জহুরুল আলম সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধে জড়ানোর চেষ্টা চালায়। এছাড়াও উক্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি বেসরকারি গ্যাস কোম্পানির স্থাপনা থাকায় পুলিশ উপস্থিত হয়ে সমাবেশ বন্ধ করার জন্য যুবদলের নেতাদের অনুরোধ করে। এসময় বিএনপি–যুবদলের নেতা কর্মীরা সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক নানা শ্লোগান দিয়ে অতর্কিতভাবে পুলিশের উপর ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং পার্শ্ববর্তী স্থানে পার্কিং করা কয়েকটি প্রাইভেটকার ভাংচুর করে। তাদের হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমদ বলেন, অনুমতি না নিয়ে সমাবেশ করা এবং পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে বিএনপি–যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপি–যুবদল পুনর্মিলনীর নামে সেখানে সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। এছাড়া তাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে সেখানে হামলা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যার কারণে আমরা সেখানে গিয়ে সভা বন্ধ করে দিই। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়।
এদিকে বিএনপির বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ এনে গতকাল বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে বাড়বকুণ্ড বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।