সীতাকুণ্ডে ছোট দারোগারহাট এলাকায় দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. কলিম উদ্দিন (৩৮) নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন আরো দুই যুবক। পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। বুধবার রাতে উপজেলার ২ নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোট দারোগার হাটে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত কলিম উদ্দিন বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পূর্ব লালানগর গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তাবিত কমিটির সেক্রেটারি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোট দারোগারহাট বাজারে ব্যবসা সংক্রান্ত নানান বিষয়ে কলিমদের গ্রুপের সাথে এবং অপর একটি গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিলো। এ সকল বিরোধের জেরে বুধবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে তার প্রতিপক্ষ ধারালো অস্ত্র–শস্ত্র নিয়ে কলিমদের ওপর আচমকা হামলা চালায়। এসময় কলিম ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় সাদ্দামসহ আরো দুই যুবক মারাত্মক আহত হন। আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও প্রতিপক্ষ হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এরপর কলিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিকে বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা ঘটনার সময় ছোট দারোগারহাট বাজারে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ দেখি দুস্কৃতকারীরা ধারালো অস্ত্র–শস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। তাৎক্ষণিক পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তবে পুলিশ আসার আগেই তারা কলিমকে এলোপাথারি কুপিয়ে চলে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চালানোর চেষ্টা করে দুস্কৃতকারীরা। শেষে একজন নিহত হন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরছালিন সাংবাদিকদের জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কলিম উদ্দিন নিহত হন। ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তাবিত কমিটির সেক্রেটারি। মাদক ব্যবসায় বাধা পেয়ে দুস্কৃতকারীরা তার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে কলিম উদ্দিন নিহত হয়েছেন বলে আমি জানতে পেরেছি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।