সীতাকুণ্ডে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনার দুই শ্রমিকসহ তিনজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ও দুপুরে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের পৃথক তিনটি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার হাপানিয়া এলাকার সাইদুর রহমানের পুত্র মো. খোকন (৩০), নেত্রকোনা সদর থানার বাসিন্দা মো. রানা (৩৫) এবং ভোলা সদর থানার দক্ষিণ বালিয়া এলাকার মোফাজ্জল হোসেন মাস্টারের পুত্র তাইজুদ্দিন (৪৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় চারজন শ্রমিক ধান মাড়াইয়ের মেশিন নিয়ে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিরাজ ভূঁইয়া রাস্তার মাথা এলাকা অতিক্রম করছিলেন। এ সময় ঢাকামুখি একটি ট্রাক পেছন থেকে ওই ধান মাড়াইয়ের মেশিনকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের ধাক্কায় মেশিনটি দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই দুই শ্রমিক নিহত হয়। গুরুতর আহত হন আরো দুই শ্রমিক। স্থানীয় লোকজন আহত দুই শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নিহত দুই শ্রমিকের মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে দুপুরে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের শীতলপুর বাজার এলাকায় তাইজুদ্দিনসহ কারখানার কয়েকজন শ্রমিক মালামাল কিনতে আসেন। তারা রাস্তা পারাপারের সময় বেপরোয়া গতিতে আসা ঢাকামুখী একটি বাসের নিচে চাপা পড়েন তাইজুদ্দিন। এতে বাস চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। একই সময়ে শীতলপুরের বগুলা বাজার এলাকায় চট্টগ্রামমুখী সড়কে যাত্রীবাহী একটি সিএনজি অটোরিকশাকে একটি ট্রাক পেছন থেকে সদর ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে–মুচড়ে গিয়ে চালকসহ দুই যাত্রী গুরুতর আহত হয়। ঘটনা পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুর্ঘটনার কবলে পড়া চার শ্রমিকবাহী ওই ধান মাড়াইয়ের মেশিনটি নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। দুর্ঘটনা পরবর্তীতে নিহত দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। দুর্ঘটনার পর কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হলেও মহাসড়ক থেকে মেশিনটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মমিন জানান, দুর্ঘটনা পরবর্তীতে বাসটি পালিয়ে যাওয়ায় তা আটক করা সম্ভব হয়নি।