সীতাকুণ্ডে পুলিশি বাধায় যুবদলের ঈদ পুনর্মিলনী ও বনভোজন অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার সময় উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের সাগর উপকূল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের লাঠিচার্জে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার নেলীসহ বিএনপি ও যুবদলের ১০–১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ বিএনপি–যুবদল কর্মীকে আটক করে।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবদলের আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাড়বকুণ্ডের পশ্চিমে সাগর উপকূলে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে। দুপুর থেকে উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ মঞ্চে বক্তব্য দিতে থাকে। দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজেরও আয়োজন করে। দুপুরের পর থেকেই সাদা পোশাকে পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। বিকেল তিনটার সময় সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ অনুষ্ঠান স্থলে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলেন। এক পর্যায়ে পুলিশ এবং বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং মঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পাঁচ বিএনপি নেতা–কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা উপজেলা যুবদল ঈদ উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করি। হঠাৎ করে পুলিশ হাজির হয়ে লাঠিচার্জ করে ও মঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। আমাদের মিনিমাম গণতান্ত্রিক অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে সরকার।
জানা যায়, পুলিশের লাঠিচার্জে সীতাকুণ্ড উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার নেলী, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল করিম চৌধুরী, ইসমাইল হোসেন, মামুনুর রহমান মিন্টু, যুবনেতা শাহাবুদ্দিন রাজুসহ ১০–১২ নেতাকর্মী আহত এবং শামসুর দোহা বাবলু, আলমগীর, মোস্তফাসহ পাঁচজনকে পুলিশ আটক করেছে।
এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, কোনো অনুমতি ছাড়াই শত শত লোক জড়ো করেছে যুবদল। এটা কোনো পর্যটন এলাকা নয়, এখানে কেন তারা পিকনিক করবে? ওই জায়গাটিতে একাধিক গ্যাস কারখানাও রয়েছে। যেকোনো বিপদ ঘটতে পারে এ আশঙ্কা থেকেই অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছি।