ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শিশুসহ দুইজন। গতকাল মঙ্গলবার সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ও চৌধুরী ঘাটা এলাকায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার ৬নং বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকার মাইদুল ইসলাম মানিক (৩৫), জেসমিন আক্তার (২৬) ও ঢাকা দোহার এলাকার নুরুল আলম প্রকাশ চাঁন মিয়া (৬০)। আহতরা হলেন, নিহত জেসমিনের দুই বছরের শিশু পুত্র ও বাঁশবাড়িয়া কোট্টা এলাকার নাসিমের পুত্র কলেজ পড়ুয়া ছাত্র সানজিত (২০)।
জানা যায়, চট্টগ্রামমুখী একটি পিকআপ মহাসড়কের বাঁশবাড়িয়া কোট্টা বাজার অতিক্রমকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কোট্টা বাজারে বাদশার ফলের দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে ২ জনের মৃত্যু হয় এবং এক শিশুসহ আরও ২ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে ভাগ্যক্রমে ফলের দোকানদার বাদশা দুর্ঘটনার সময় অন্য দোকানে বসে কথা বলছিলেন। অপরদিকে উপজেলার বিবিরহাট খাদিমপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া চাঁন মিয়া বাসা থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাঁশবাড়িয়ায় মাহফিলে যাচ্ছিলেন। ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে চৌধুরীঘাটা এলাকায় অতিক্রমকালে চাঁন মিয়ার মোটরসাইকেলকে পিছন থেকে একটি বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে চাঁন মিয়া মোটরসাইকেলসহ সামনে থাকা লরির পিছনে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।
পৃথক দুর্ঘটনায় বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ডের বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মবিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মহাসড়কের একটি পিকআপ দোকানে ঢুকে গিয়ে এক নারী ও এক পুরুষ পথচারী নিহত হয়। একই ঘটনায় শিশুসহ এক ছাত্র আহত হয়। আমরা পিকআপটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি এবং আহতদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। অন্যদিকে মহাসড়কের চৌধুরীঘাটা এলাকায় লরি চাপা পড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে।