সীতাকুণ্ডে শারমিন আক্তার নামে এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় জসিম উদ্দিন প্রকাশ বাপ্পি (৩৫) নামের একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। গতকাল দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জামিউল হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডিত জসিম উদ্দিন কাটগড়ায় হাজির ছিলেন। সে ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি নিখিল কুমার নাথ আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি পাঁচজন। এর মধ্যে আব্দুল মোতালেব প্রকাশ লিটন (৪২) ও সরোয়ার আলম প্রকাশ সেরু (৫৫) নামের দুজন কারাগারে মারা গেছেন। আইয়ুব খান (৩৬) ও শরীফ আহমদ (৫৫) নামের দুজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আইয়ুব খান ঘটনার পর থেকে পলাতক। অপরজন শরীফ আহমদ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিনের সাথে কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পুরো বিচার পক্রিয়ায় ১৯ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করেছিলাম জীবিত তিনজনের মৃত্যুদণ্ড হবে। কিন্তু তা হয়নি। মাত্র একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকী দু’জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। বাদী বলেছেন তিনি এ দু’জনের খালাস বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন এবং আপীল করবেন। এ ব্যাপারে আমরা তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা শারমিন আক্তার দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে কুমিরা রেলওয়ে কলোনিতে ভাড়ায় থাকতেন এবং পাহাড় থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চও শারমিন আক্তার প্রতিদিনের মতো লাকড়ি সংগ্রহ করতে যান এবং জসিম উদ্দিন বাপ্পি গংদের নজরে পড়েন। একপর্যায়ে তারা শারমিন আক্তারকে (৪০) ধর্ষণের পর হত্যা করে। এ ঘটনায় মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার সীতাকুণ্ড থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।