সরকারি ঘোষণায় সারা দেশের মতো সীতাকুণ্ড উপজেলায়ও ১০টি নার্সারিতে থাকা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক আগ্রাসী প্রজাতির প্রায় লক্ষাধিক চারা ধ্বংস করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি অফিস।
জানা যায়, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন–১ অধিশাখা থেকে গত ১৫ মে আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমনি গাছের চারা রোপন, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস চারা উৎপাদনকারী বেসরকারি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি মালিকদের ক্ষতিপূরণ, সহায়তা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাবিবুল্লাহ ও কৃষি সমপ্রসারণ অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ–সহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ মাঠে কাজ করছেন। উপজেলার পৌরসভাধীন এলাকার মোট ১০টি নার্সারির ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারাসহ প্রায় ১ লক্ষ চারা ধ্বংস করা হয়। আর ক্ষতিগ্রস্ত নার্সারি মালিকদের ৪ টাকা হারে চেক প্রদান করা হয়েছে । এদিকে উপজেলার ভূঁইয়া নার্সারির মালিক আজিজুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে একমত। তবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি রোপন অথবা বিক্রি করা যাবে না–এ কথাটি আমাদের আগে বলার দরকার ছিল। তাহলে লোকসানে পড়তে হত না। প্রতি চারাতে আমাদের সব মিলিয়ে অন্তত ১০ টাকারও বেশি খরচ পড়েছে। কিন্তু সরকার আমাদের দিচ্ছেন মাত্র ৪ টাকা করে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। সরকারের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়তে হয়েছে আমাদের। একই কথা বলেন প্রদর্শনী নার্সারীর তপন চন্দ্রনাথ, সুমন নার্সারীর সুমন, জেসমিন নার্সারির মো. জাফরসহ অনেকে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, সারাদেশের ন্যায় সীতাকুণ্ড উপজেলাতেও ১০টি নার্সারিতে উৎপাদিত আকাশমনি এবং ইউক্যালিপটাসের প্রায় ১ লক্ষ চারা ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া নার্সারি মালিকদের নিকট থেকে ভবিষ্যতে আর ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমনির চারা উৎপাদন ও বিপণন করবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়।