করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনকে উপেক্ষা করে দিনে মাইক্রোবাস ও রাতে দূর-পাল্লার যাত্রীবাহী বাসে করে ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলের দিকে ছুটছেন মানুষ। হাইওয়ে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মহাসড়কে চলা এসব বাস, মাইক্রোবাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। আর এতে করে দুর্ভোগে পড়ছেন কর্মস্থলে ফেরা মানুষ। রবিবার রাতে মহাসড়কের বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার চেকপোস্ট এলাকায় দূর-পাল্লার ৩৪টি যাত্রীবাহী বাস আটক করা হয়েছে। এছাড়া আসন সংখ্যার দ্বিগুণ যাত্রী নেয়াসহ বিভিন্ন কারনে ৫৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০টি বাসের যাত্রীই অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন। দূরের জেলার অনেকেই গন্তব্যে না গিয়ে উল্টো দিকে ফিরেছেন। কাছের জেলার যাত্রীরাও ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার সামনের মাঠে মোট ২৪টি বাস রাখা হয়েছে। থানায় যাওয়ার পথে, থানার পেছনেও খালি জায়গায় আটক করা বাস রাখা হয়। থানা এলাকায় ৩৪টি বাস রয়েছে। আর বাস রাখার জায়গা নেই। যাত্রীবিহীন ছেড়ে আসা তিনটি বাসকে মামলা না দিয়ে হাইওয়ে পুলিশকে ঘুরিয়ে দিতে দেখা গেছে। হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা ও কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দুটি চেকপোস্ট রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২টি বাস আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এর মধ্যে বারো আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ আটক করেছে ৩৪টি বাস। এ বাসগুলো ছাড়াও ২১টি মাইক্রোবাস ও ছয়টি সিএনজিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তারা।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ২৪ ঘণ্টায় আন্তঃজেলা ৩৪টি বাস আটক ছাড়াও অনেক গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেসব গাড়ি আটক করা হয়েছে, সব গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ফারুক হোসেন বলেন, এখন কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার মানুষের ভিড় বেশি। যার কারনে বিভিন্ন পন্থায় মানুষ কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন। তারা ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮টি বাস আটক করেছেন।