করোনা ভাইরাসের কারনে চলমান লকডাউনকে উপেক্ষা করে দিনে মাইক্রোবাস ও রাতে দূর-পাল্লার যাত্রীবাহী বাসে করে ছুটছেন ঘরমুখী মানুষরা। হাইওয়ে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মহাসড়কে চলা এসব বাস, মাইক্রোবাসের চালকরা আসন সংখ্যার দ্বিগুণ যাত্রী উঠানোর পাশাপাশি দ্বিগুনেরও অধিক ভাড়া আদায় করছেন। এতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাতায়াত করায় করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন এসব মানুষ। হাইওয়ে পুলিশের তথ্য মতে, রবি ও সোমবার রাতে মহাসড়কের বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার চেকপোস্ট এলাকায় দূর-পাল্লার ৪০টি যাত্রীবাহী বাস আটক করা হয়। এছাড়া আসন সংখ্যার দ্বিগুণ যাত্রি নেয়াসহ বিভিন্ন কারনে ১১০টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।
বার আউলিয়া চেকপোস্টের সামনে মাইক্রোবাসে থাকা নোয়াখালী কবিরহাট এলাকার যাত্রী শরীফ হোসেন বলেন, তিনি চট্টগ্রামের একটি এলপি গ্যাস পরিবহনকারী জাহাজে চাকরি করেন। বাড়িতে মায়ের অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছেন। তিনি আরো বলেন, মাইক্রো চালক সিটি গেট থেকে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছেন। অন্যান্য যাত্রীর পাশাপশি তিনি ৭০০ টাকা ভাড়া দিয়ে নোয়াখালীর কবিরহাট যাচ্ছেন।চালক চাহিদার দ্বিগুণ ভাড়া নিলেও অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার ফলে ঝুঁকি নিয়ে ফিরছেন তারা।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে গত দু’দিনে দূর-পাল্লার ৪০টি যাত্রীবাহি বাস আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ১১০টি মাইক্রোবাস, মিনিবাস ও দূর-পাল্লার বাসের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।