সীতাকুণ্ডে থানা, গির্জা, মন্দির পাহারা দিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি–জামায়াতের নেতাকর্মীরা। হামলা থেকে রক্ষা করতে এসব পাহারা দিচ্ছেন তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সীতাকুণ্ড উপজেলার কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রদের বিজয়ের পর থেকেই সীতাকুণ্ডের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনা ও মন্দিরের নিরাপত্তায় রাত জেগে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জনরোষ থেকে থানায় থাকা পুলিশ সদস্যদের বাঁচাতে থানার গেট পাহারা দেন বিএনপি–জামায়াতের নেতারা। প্রতিদিন ক্রমান্বয়ে তারা থানার সামনে অবস্থান করে পাহারা দিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আমাদের। এ দেশ রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। শেখ হাসিনার পতনের বিজয় উল্লাস প্রমাণ করে দেয় মানুষ কত কষ্টে ও জিম্মি ছিল। সবকিছু ভুলে গিয়ে দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাই। প্রতি রাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের জান মাল, মন্দির ও গির্জা পাহারা দিচ্ছে।
সীতাকুণ্ডের জামায়াতে ইসলামী নেতা অ্যাডভোকেট হুসাইন মোহাম্মদ আশরাফ বলেন, সীতাকুণ্ড থানায় কর্মকর্তাদের সাথে আমরা বৈঠক করেছি। তাদেরকে তাদের কার্যক্রম এবং স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য আশ্বস্ত করেছি। এছাড়া আমাদের নেতাকর্মীরা রাত জেগে বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার ধর্মীয় প্রার্থনালয় ও সাধারণ জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোন লুটপাটকারী যেন অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু করতে না পারে সেদিকেও আমাদের কর্মীরা সজাগ রয়েছে।