সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী নির্ধারণ বিষয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা যায়, সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৬৩জন প্রার্থী। এরা দলের বিভিন্ন পদ পদবীতে রয়েছে। গত তিনদিন ধরে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একাধিকবার বৈঠক করেও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। নির্বাচনে লড়াই করার জন্য প্রার্থীরা যে যার অবস্থানে অনড় থাকায় সমস্যায় পড়ে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী মহল। আগামী ২৮ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনের বাকী আর দুইদিন। তাই গতকাল শুক্রবার প্রার্থী নির্ধারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য মুরাদপুর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম.এ সালাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, উত্তর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়াসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামীলীগের নেতারা দাবি করেন, কাউন্সিলর পদটি উন্মুক্ত থাকলে দলের পরীক্ষিত নেতারা নির্বাচিত হবেন। যারা বহিরাগত ও টাকার মাধ্যমে কাউন্সিলর হতে চাই তাদের আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা কর্মীরা প্রত্যখ্যান করবেন। নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী জানান, প্রার্থীদের সাথে কয়েকদফা আলোচনা হয়েছে। সবাই যার যার অবস্থানে অনড়। তাই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা আলোচনা করে সীতাকুণ্ডে কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর পদে উন্মুক্তভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী নির্ধারণের জন্য কয়েকদফা বসা হয়েছে। যে যার অবস্থানে থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবে। তবে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামীলীগ মেয়র প্রার্থী বদিউল আলমকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করবে।