সীতাকুণ্ডে কাউন্সিলর নিয়ে ভাবছেন ভোটাররা!

বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। নির্বাচনী মাঠে চলছে প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে নির্বাচনের মূল আকর্ষণ মেয়র পদটি নিয়ে এখানকার ভোটারদের মধ্যে খুব একটা আগ্রহ নেই। এখন সবার দৃষ্টি কাউন্সিলরদের দিকে।
জানা গেছে, নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থীসহ তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আরও ১২ জনসহ মোট ৭৫ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, বিএনপির প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মুনছুর ও সম্মিলিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসেবে মোবাইল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জহিরুল আলম। দিন যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী উত্তাপ তত বাড়ছে। প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আসছে অহরহ। প্রার্থীদের পোস্টার লাগাতে না দেয়া ও পোস্টার ছেঁড়াসহ বিভিন্ন অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। ৯টি ওয়ার্ডে নির্বাচন আচরণবিধি দেখার জন্য তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। তারা ইতোমধ্যে যানবাহনে ও স্থাপনার মধ্যে পোস্টার লাগানোর অপরাধে মেয়র প্রার্থীসহ দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছেন। এছাড়া এলাকায় লাঠিমিছিল করার সময় এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন।
নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় ভোটাররা জানান, সীতাকুণ্ড পৌরসভায় এবারের নির্বাচন বিগত নির্বাচনের তুলনায় ভিন্ন রূপ নিয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দাবি, অন্য দুই প্রার্থীর চেয়ে বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলমের অবস্থান বেশ ভালো।
তবে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মুনছুর বলেন, ‘জনপ্রিয়তা দেখে সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা আমার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
এদিকে স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে মেয়রের চেয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ বেশি। প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ৪/৫ জন করে প্রার্থী। স্থানীয় এমপিসহ আওয়ামী লীগ নেতারা কয়েকদফা বৈঠক করেও একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলর পদ উন্মুক্ত করে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী কম হওয়ায় তারা বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, সীতাকুণ্ডে মোট ভোটার ৩৪৮১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৭৮২৭ জন ও মহিলা ভোটার ১৬৯৮৬জন। পুলিং বুথের সংখ্যা ৯৮টি, অস্থায়ী বুথের সংখ্যা ২০টি ও ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭টি। এবার প্রথম সীতাকুণ্ডে ইভিএম ভোট গ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এলাকায় জমজমাট প্রচারণা চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএসিআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ
পরবর্তী নিবন্ধউৎপাদনের আগেই পণ্যের মোড়কে তারিখ