সীতাকুণ্ডে দুই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার পৃথক সময়ে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ ও সৈয়দপুর ইউনিয়নের শেখেরহাটস্থ পূর্ব বাকখালি এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। দুই গৃহবধূ হলেন, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহামুদাবাদ এলাকার প্রবাসী বেলাল হোসেনের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা (২৩) ও একই উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের শেখেরহাট পূর্ব বাকখালি এলাকার রেহানের স্ত্রী সানজিদা আক্তার নিপা (১৮)।
একদিনে দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সৈয়দপুর ইউনিয়নের বাকখালী এলাকার গৃহবধূ সানজিদা আক্তার নিপাকে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন গৃহবধূ সানজিদা আক্তারের বাবা বোরহান উদ্দিন। মামলা পরবর্তী পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী মো. রেহান উদ্দিনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৯টায় নিজ কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে কানিজ ফাতেমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তারা বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানালে তিনি সীতাকুণ্ড থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করে। অন্যদিকে শনিবার দুপুরে সৈয়দপুর ইউনিয়নের বাকখালি এলাকা থেকে জনপ্রতিনিধির খবরের ভিত্তিতে গৃহবধূ সানজিদা আক্তার নিপার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন জানান, একই দিনে দুই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বাড়বকুণ্ড এলাকায় গৃহবধূ কানিজ ফাতেমার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে সৈয়দপুরের বাকখালী থেকে উদ্ধার করা গৃহবধূ সানজিদা আক্তারের গলার বাম পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা পরবর্তী অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে হত্যার সঠিক কারণ বেরিয়ে আসবে।