সীতাকুণ্ডে আসামি ধরতে গিয়ে স্ত্রীকে হেনস্তা এসআই প্রত্যাহার

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে আসামির স্ত্রীকে মারধর, ঘরের আলমারি ভেঙে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার নাম মাহবুব মোরশেদ। তিনি সীতাকুণ্ড মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন। গত রবিবার রাতে মাহবুব মোরশেদকে প্রত্যাহার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা অপেশাদার আচরণ করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে গত রবিবার বিকালে সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম বরাবর ও গত শনিবার চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নারী। পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। পরে এসআই মাহবুবকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রামের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ওই নারীর স্বামী নুরুল ইসলাম পারিবারিক বিরোধের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি।

ওই নারী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধে পারিবারিক একটি মামলায় তার স্বামী গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি। গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্বামীকে ধরতে এসআই মাহবুব মোরশেদ, তার সোর্স নুরুজ্জামান ও সাদা পোশাকে থাকা দুই পুলিশ সদস্য তাদের বাড়িতে যায়। এসময় এসআই মাহবুব মোরশেদ ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে না পেয়ে আলমারির চাবি দিতে বলেন। তিনি চাবি দিতে না চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে দুটি লাথি দেন এসআই। ভয়ে তাকে চাবি দেওয়ার পর আলমারিতে থাকা এক লাখ ৪২ হাজার টাকা, আধা ভরি স্বর্ণালংকার, ঘরে থাকা দুটি মোবাইল ফোন সেট ও ছেলে-মেয়েদের জন্মনিবন্ধন, বিভিন্ন শিক্ষা সনদ নিয়ে যান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় বাধা দিলে ছোট ছেলেকে মারধর করা হয়।

এসআই মাহবুব মোরশেদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি আসামি নুরুল ইসলামকে ধরতে গিয়েছিলেন। তবে আসামি পালিয়ে যান। আসামির স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন। সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগ যেহেতু পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দিয়েছে সেখান থেকে নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনুমোদন বিষয়ে তথ্য দিতে সিডিএ চেয়ারম্যানকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধরাঙামাটিতে বাইকের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু