সীতাকুণ্ডে আছে উচ্ছ্বাস, আছে শঙ্কা

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বুধবার , ১০ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে উৎসাহের পাশাপাশি রয়েছে শঙ্কাও। গতকাল মঙ্গলবার ভোটার ও প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ওই চিত্র পাওয়া গেছে। আগামীকাল ১১ নভেম্বর এখানে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, সীতাকুণ্ডের ৯টি ইউপির মধ্যে ৫টিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে। অপর ৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে ৪০৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাড়বকুণ্ড ইউপিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ জে এম বেলাল উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৮০ শতাংশ ভোট পাব। নৌকা মার্কার প্রার্থী বিষয়টা বুঝতে পেরে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছেন। আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি ও মারধর করা হচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। নৌকার প্রার্থী যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেহান উদ্দিন রেহান বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট দিতে পারবেন। মানুষের মধ্যে কোনো শঙ্কা বা ভীতি আছে বলে মনে করি না। আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
গতকাল সকালে কথা হয় বাঁশবাড়িয়া ইউপির বটতল গ্রামের কৃষক রহমত আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রচারণা দেখে প্রশ্ন জেগেছে, এখানে ভোট সুষ্ঠু হবে কি-না। আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। ভোটের দিনও মারামারি হয় কি-না কে জানে।
মুরাদপুর ইউপির ফকিরহাট এলাকায় চায়ের দোকানে খোশগল্প করছিলেন জনা ছয়েক ভোটার। তাঁদের মধ্যে জহুরুল হক নামের এক ভ্যানচালক জানান, ভালো ভোট হবে বলে মনে হচ্ছে না। তারপরও পরিস্থিতি বুঝে তিনি ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আবদুল কাদের নামের আরেক ভোটার বলেন, ভোটের দিন খালি গন্ডগোল হয়। এতে সাধারণ মানুষ মার খায়। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে অবস্থা দেখি তারপর ভোট দিমু। বাঁশবাড়িয়া ইউপির বোয়ালিয়াকুল এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, ভোটটা যেন শান্তি মতো অয়।
উপজেলা জাপা সভাপতি রেজাউল করিম বাহার বলেন, সুষ্ঠু ভোট নিয়ে তো আশঙ্কা আছেই। পুলিশ এর মধ্যেই বিএনপির নেতা কর্মীদের হয়রানি করতে শুরু করেছে। সুষ্ঠু ভোট হলে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নেই জাপা প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। যাঁরা ঝামেলা করবেন, তাঁরা বিপদে পড়বেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়
পরবর্তী নিবন্ধ৩৯ ইউপিতে নির্বাচন কাল