সীতাকুণ্ডে ছাত্রদের উপর হামলা, চাঁদাবাজি, সভা-মিছিল বন্ধ করা, নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে সীতাকুণ্ডের সাবেক এমপিসহ ৭৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
তাছাড়া ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলামের আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা সীতাকুণ্ড শাখার সমন্বয়ক আজিজুল হাকিম সায়াত (২৩)। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য সিআইডি চট্টগ্রামকে তদন্তের নির্দেশ দেন। বাদীর আইনজীবী এম এ কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে- এস এম আল মামুন (৫৮), মো. শাহজাহান (৫৩), বদিউল আলম জসিম (৪৫), দিদারুল আলম এ্যাপোলো (৪২), শাহাব উদ্দিন (৩৩), সুজিত দাশ প্রকাশ কালুস (৪১), সৈয়দ তাইমুর তানসীর (৪১), সফিউল আলম মুরাদ (৪২), মিনহাজ (২৬), হাছান চৌধুরী (৪২), ফজলে ইলাহী পায়েল, জাহেদ হোসেন ফারুক (৪০), ছালাউদ্দিন (৪০), ছালাউদ্দিন প্রকাশ কানকাটা ছালাউদ্দিন (৩৫), ছালাউদ্দিন (৩২), জাবের আল মাহমুদ, রেহান উদ্দিন (৪০), মানষ চৌধুরী সংগ্রাম (৪৫), আব্দুল কুদ্দুছ ওরফে নোয়াখাইল্ল্যা কুদ্দুছ (৬০), একরাম হোসেন ওরফে ধামা রানা (৩০), মো. আবুল বশর (৩৫), দাওদ ফয়সাল (৩০), মো. সম্রাট (৩২), মো. শহিদ ওরফে ডাকাত শহিদ (৩২), রেজাউল করিম ভোলা (৩২), মো. রুবেল ওরফে ডাকাত রুবেল (২৮), এরশাদ হোসেন, মো. জাবেদ (৪০) সহ ৭৪ জনকে নামীয় আসামি করা হয়েছে। তাছাড়া ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ও সীতাকুণ্ড ডিগ্রি কলেজ মুখ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সীতাকুণ্ড শাখা মিছিল শুরু করে।
মিছিলটি দক্ষিণ বাইপাস সীতাকুণ্ড পৌরসভার মুখে শেষ করে। মিছিলে অংশ নেয়ায় আসামিরা সিটিভি ফুটেজ দেখে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সনাক্ত করে এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পরদিন ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের মিছিলে পথরোধে করে। পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
অভিযোগকারী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাবেক এমপি এস এম আল মামুনের নির্দেশে আসামিরা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় এস এম আল মামুন অভিযোগকারীর গলায় ছুরি ধরে এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা রড দিয়ে অভিযোগকারীর মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে। পরে আসামিরা অভিযোগকারীর উপর হামলা চালায় এবং শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে।
পরে আসামিরা অভিযোগকারীর বাসায় প্রবেশ করে মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এবং পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। পাশাপাশি অভিযোগকারীকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।