সীতাকুণ্ডে যুবদল নেতা মাসুদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি হত্যার পর গ্রেপ্তার এড়াতে নগরের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন। গত সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে নগরের আমবাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করের্যাব–৭। গ্রেপ্তার লুৎফর রহমান সীতাকুণ্ড উপজেলার ছিন্নমূল এলাকার মৃত মাওলানা আবুল বশরের ছেলে।
র্যাব–৭ জানায়, নিহত মো. মাসুদ সীতাকুণ্ড উপজেলার ৫ নম্বর ছিন্নমূল এলাকার বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে ইট, বালু, কংক্রিটের ব্যবসা করেছিলেন। ব্যবসা না করার জন্য মাসুদকে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন এবং কামরুল হাসান ওরফে রিদোয়ান হুমকি দেয়। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কামরুল হাসান প্রকাশ রিদোয়ান এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা অস্ত্র নিয়ে ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে। তাকে জোরপূর্বক জঙ্গল ছলিমপুর ছিন্নমূল স্কুল মাঠে নিয়ে গিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং পা থেতলে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুদ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মারা গেছে ভেবে ঘটনাস্থল থেকে পলিয়ে যায় আসামিরা। পরে ভিকটমের পরিবার এবং স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ ফেব্রুয়ারি মারা যান মাসুদ। এ ঘটনায় নিহত মাসুদের স্ত্রী বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় ৭ জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতানাম ৫–৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ. আর. এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, মামলার দায়েরের পর থেকে আসামিদের ধরতে নজরদারি অব্যাহত রাখে র্যাব–৭। পরে এজাহারনামীয় এক আসামির অবস্থান জানতে পেরে নগরের খুলশীর আমবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি মো. লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।