চট্টগ্রাম ওয়াসার নন-রেভিনিউ ওয়াটার (এনআরডব্লিউ) বা সিস্টেম লস এক সময় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছিল। এখন তা ২১ শতাংশে এসে ঠেকেছে। এটাকে শূন্যের কোঠায় আনা না গেলেও সহনীয় পর্যায়ে আনার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। সিস্টেম লসের কারণে বছরে প্রচুর রাজস্ব হারাচ্ছে ওয়াসা। উৎপাদিত পানি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর আগে পাইপ লিকেজ, চুরি অথবা বৈধ ব্যবহারের পরও অপচয় দেখানোর নাম নন-রেভিনিউ ওয়াটার (এনআরডব্লিউ)। এক সময় ১৫ থেকে ২০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হলেও নন-রেভিনিউ ওয়াটার ছিল ৪০ শতাংশের মতো। বর্তমানে পানির উৎপাদন বেড়েছে। এখন শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার ১ম প্রকল্প থেকে দৈনিক ১৪ কোটি লিটার, মদুনাঘাট পানি শোধনাগার প্রকল্প থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার উৎপাদন হচ্ছে। শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার ২য় প্রকল্প থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ৪ কোটি লিটার পানি।
উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে রেভিনিউ ওয়াটারের হার কমে আসছে বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একে এম ফজলুল্লাহ। তিনি বলেন, আমি যখন ওয়াসার দায়িত্ব নিই তখন সিস্টেম লস ছিল ৪০ শতাংশ। এখন সেটা ২০-২১ শতাংশে নেমে এসেছে। আমাদের টার্গেট সিস্টেম লস শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা। তবে সেটা সম্ভব নয়। এখন পানি বেশি উৎপাদন হচ্ছে। পুরনো পাইপ লাইনে কিলেজের কারণে পানির অপচয় হচ্ছে। প্রায় এলাকায় পুরনো পাইপ লাইন। যেখানে পানির প্রেসার দিচ্ছি সেখানে লিকেজ বাড়ছে। উন্নত বিশ্বেও সিস্টেম লস ১০-এর নিচে নামাতে পারে না। আমরা আগামী বছরের মধ্যে ১৫-এর মধ্যে নামিয়ে আনব আশা করছি।
ওয়াসার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তিনটি প্রকল্প ও গ্রাউন্ড ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ওয়াসা প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪২ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করে। এর মধ্যে শেখ রাসেল পানি শোধনাগার প্রকল্প থেকে দৈনিক ৯০ মিলিয়ন লিটার, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প থেকে ১৪৩ মিলিয়ন লিটার, মোহরা পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে ৯০ মিলিয়ন লিটার উৎপাদন করা হয়। এছাড়া গ্রাউন্ড ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ৪৩টি গভীর নলকূপ থেকে ৬৮ মিলিয়ন এবং ৩৭ মিলিয়ন লিটার পানি উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত এই পানির ৭ থেকে ৮ কোটি লিটার প্রতিদিন নন-রেভিনিউ ওয়াটার হিসেবে অপচয় হচ্ছে। এই অপচয় রোধ করা গেলে নগরীর বিশাল জনগোষ্ঠী ওয়াসার পানির আওতায় আসত।












