সিলেটকে উড়িয়ে বিপিএলে শুভসূচনা করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় খেলায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে পরাজিত করে। শুরুতে ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে সিলেট। জবাব দিতে নেমে ৯ বল আগেই ম্যাচ জিতে নেয় চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তোলে। চট্টগ্রামের শাহাদাৎ হোসেন দীপু ও নাজিবউল্লাহ জাদরানের দুর্দান্ত ব্যাটিং তাদেরকে ম্যাচ জিতে নিতে সাহায্য করে। রান তাড়ায় নেমে তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লের শেষ অবধি ভালো অবস্থাতেই ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান করে চট্টগ্রাম। পরের ওভারে এসে ভয়ঙ্কর হতে চাওয়া আভিস্কা ফার্নান্দোকে আউট করেন নাজমুল ইসলাম। ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ বলে ৩৯ রান করেন আভিস্কা। পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রায় ২৫০ দিন পর বোলিং করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট পেয়ে যান তিনি। ১৪ বলে ১১ রান করে পুল করতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন ইমরান। বাউন্ডারির কাছে দাঁড়িয়ে তখন ক্যাচ ধরেন ইয়াসির আলী। হুট করে দুই উইকেট হারিয়ে পড়া চাপ থেকে চট্টগ্রামকে বের করেন শাহাদাৎ হোসেন দীপু ও নাজিবউল্লাহ জাদরান। শুরুতে কিছুটা চাপে থাকলেও পরে ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন তারা। দুজন মিলে ৬৮ বলে অপরাজিত ১২১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতে নেয় চট্টগ্রাম। বিপিএল অভিষেকেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দীপু। ৪ চার ও সমান ছক্কার ইনিংসে ৩৯ বলে ৫৭ রান করেন তিনি, ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৩০ বলে ৬১ রান করেন নাজিবউল্লাহ জাদরান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১৭৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় গতবারের রানার্স আপ সিলেট স্ট্রাইকার্স। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪৭ রান তোলেন দুই ওপেনার মিঠুন ও শান্ত। মিঠুন একপ্রান্তে ঝড় তুললেও শান্ত খেলছিলেন কিছুটা রয়েসয়ে। পরে অবশ্য গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ৩০ বলে ৭ চারে ৩৬ রানে নিহাদুজ্জামানের শিকার হয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ভাঙে ৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। মিঠুনও এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কার্টিস ক্যাম্ফারকে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেট রক্ষককে ক্যাচ দেন তিনি। ২৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। মিঠুনের পথ ধরেই দারুণ ব্যাট চালাতে থাকেন জাকির। ছন্দময় ব্যাটিংয়ে বিপিএলে নিজের চতুর্থ ফিফটি স্পর্শ করেন ৩১ বলে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৪৩ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৭০ রান করেন তিনি। অপরপ্রান্তে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন ২০ বলে ২৬ রান করা আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টর। দুজনে মিলে ৮২ রান যোগ করেন অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে। ম্যাচ সেরা হয়েছেন চট্টগ্রামের নাজিবুল্লাহ জাদরান।