সিরিয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে প্রায় ১০০ জন অপহরণ বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা রেকর্ড করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়। সংস্থাটি বলছে, নতুন করে গুমের ঘটনাও ঘটছে। গতকাল শুক্রবার জেনিভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মুখপাত্র থামিন আল–কিতান বলেন, সিরিয়ায় আগের সরকার পতনের ১১ মাস পর আমরা এখনও উদ্বেগজনক সংখ্যক অপহরণ ও জোরপূর্বক গুমের খবর পাচ্ছি। খবর বিডিনিউজের।
ওএইচসিএইচআরের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৯৭ জনের অপহরণ বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। নিখোঁজ বা অপহরণের সর্বশেষ সংখ্যাটি সেই ১ লাখের বেশি মানুষের তালিকায় নতুন সংযোজন, যারা সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের শাসনামলে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
গত বছর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল–শাম মাত্র ১১ দিনের অভিযানে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে, যা সিরিয়ায় ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। অনেক সিরীয় নাগরিক এখনও চান, আসাদের শাসনামলে ঘটে যাওয়া নির্যাতন ও অপরাধের বিচার হোক বিশেষ করে তার কুখ্যাত কারাগারগুলোর ভেতর সংঘটিত নির্যাতনের।
জাতিসংঘ বলছে, সরকার পতনের পর কিছু পরিবার নিখোঁজ স্বজনদেরকে আবার খুঁজে পেলেও বহু পরিবার এখনও জানে না, তাদের প্রিয়জনরা জীবিত না মৃত। সিরিয়ার অস্থির নিরাপত্তা পরিস্থিতি, বিশেষত উপকূলীয় অঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সুয়েইদায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় নিখোঁজদের খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
অনেকে ভয় পেয়ে কথা বলতে চাইছেন না বলে জানিয়েছে ওএইচসিএইচআর। মানবাধিকার কার্যালয়টির মুখপাত্র আল–কিতান জানান, জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলার কারণে কিছু মানুষ হুমকির মুখেও পড়েছেন।












