সিরিয়ায় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের দিনে সেখানে ইসলামিক স্টেটের ৭৫টিরও বেশি কৌশলগত স্থাপনা লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, অভিযানে মার্কিন বিমান বাহিনীর বহর থেকে একাধিক ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আইএসকে ছত্রভঙ্গ, দুর্বল ও পরাজিত করতে যে অভিযান চলমান আছে, তার অংশ হিসেবে হামলা চালানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আইএস যাতে সুযোগ না নিতে পারে সেজন্যও এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বি–৫২, এফ–১৫ এবং এ–১০ এসসহ মার্কিন বিমান বাহিনীর একাধিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে ৭৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ওই অঞ্চলের মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে সেন্টকম এই পটপরিবর্তনের সময়েও আইএসের আভিযানিক সক্ষমতা কমানোর জন্য অভিযান চালিয়ে যাবে।
অভিযানের পর জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বলেছেন, তারা কখনোই আইএসকে পুনর্গঠিত হতে দেবেন না এবং সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিতে দেবেন না। সিরিয়ার সব সংগঠনের জানা উচিত, তারা যদি কোনোভাবে আইএসের সঙ্গে অংশীদার হয় বা সমর্থন করে–তাহলে আমরা তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনব। সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী নভেম্বরের শেষ দিকে উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেয়, এরপর একে একে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হামা ও হোম বিদ্রোহীদের কব্জায় চলে আসে। তিনটি শহরই সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। রোববার বিদ্রোহী যোদ্ধারা যখন সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ঢুকছিল, ঠিক তখন ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে রাশিয়ায় পালিয়ে যান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ। টানা ২৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে ৫৩ বছরের আসাদ পরিবারের শাসনের অবসান হয়েছে।