নিউজিল্যান্ডে গত এক মাস পর্যন্ত বলতে গেলে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু যখনই লড়াইয়ের ময়দানে নামল তখন আবার সেই পুরনো পথে হাঁটা শুরু হলো বাংলাদেশ দলের। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ক্রমাগত হারের যে রেকর্ড সেটাকে আরো বড় করল টাইগাররা। তার উপর ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতাটা ফুটে উঠল নতুন করে। ১৩১ রানে গুটিয়ে যাওয়া, ৮ উইকেটে হার সব মিলিয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচটা যেন দুঃসহ এক স্মৃতি বাংলাদেশের জন্য। তবে সে স্মৃতিকে পেছনে ফেলে আজ নতুন মিশনে টাইগাররা। যে মিশনে ম্যাচ জিতে সিরিজে টিকে থাকতে হবে টাইগারদের। আর সে সাথে প্রমাণ করতে হবে প্রথম ম্যাচের যে দল সেটি বাংলাদেশ নয়। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায় মাঠে গড়াবে এই ম্যাচটি। যেখানে বাংলাদেশ দলের জয়ের কোন বিকল্প নেই। কারণ এই ম্যাচে হারা মানে সিরিজ শেষ। আর তাই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে ভালো করে প্রথম ম্যাচের দুঃস্বপ্ন ভুলিয়ে দিতে চায় দল।
প্রথম ম্যাচে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পর অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, আমরা এত খারাপ দল নই। পরদিন একই কথা বলেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের দিন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনের কণ্ঠেও সেই সুর। কাজেই সব সুর যখন এক সাথে মিলে মিশে একাকার তখন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে যে ভালো করার তাড়না রয়েছে তা একেবারেই স্পষ্ট। ডুনেডিনের ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে ক্রাইস্টচার্চ নতুন ভেন্যুতে নতুন আরেকটা শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। যেখানে প্রধান ভূমিকাটা পালন করতে ব্যাটসম্যানদের। কারণ সবাই মুখিয়ে আছে সেরাটা দিতে। আর সেই সেরাটা দেওয়ার লড়াইয়ে মূল চ্যালেঞ্জ ব্যাটিং। মিঠুনের চাওয়া শুরুতেই যেন ম্যাচ থেকে ছিটকে না যায় দল। ব্যাটসম্যানদের আরেকটু দায়িত্বশীল হতে হবে। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সবার জায়গা থেকে সেরাটা দিতে হবে। বোলারদের জন্য লড়াই করার একটি মঞ্চ কিন্তু ব্যাটসম্যানদেরই তৈরি করে দিতে হবে। মিঠুনের বিশ্বাস ২৬০-২৭০ করতে পারলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করা যাবে।
উইকেটের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে ম্যাচ জেতার জন্য যতটুকু করা দরকার এবং বোলাররা যাতে একটু নির্ভার থাকতে পারে অন্তত এমন একটা টার্গেট দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই আজ মাঠে নামবে টাইগাররা। যদিও কাজটা বেশ কঠিন। আর সেটা বেশ ভালোই জানা টাইগারদের। কিন্তু পেছনে যে আর কোন রাস্তা নেই। কেবল সামনেই যেতে হবে। ক্রাইস্টচার্চের উইকেটে নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য উইকেটের তুলনায় বাউন্সটা তুলনামূলক কম থাকে। যদিও পেস থাকে বেশি। তবে তা ব্যাটসম্যানদের জন্য একটা সুবিধা। কারণ বল ভালো ব্যাটে আসে। আমরা যদি নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি এবং ইতিবাচক থাকি তাহলে ডুনেডিনের পুনরাবৃত্তি এখানে হবে না। তেমনটি বিশ্বাস মোহাম্মদ মিঠুনের। এখন মিঠুনের বিশ্বাসের পালে কতটা হাওয়া দিতে পারে তার সতীর্থরা সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।