শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ একটি সিরিজ শেষ হচ্ছে আজ। দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে এবং তিন টি–টোয়েন্টির সিরিজটি আজ বুধবার শেষ হবে সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে। আর সে ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে। কারণ তিন ম্যাচের সিরিজটি এখন ১–১ এ সমতায়। আজ টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতে সফর শেষ করতে চায় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে টেস্ট এবং ওয়ানডে দুটি সিরিজেই হেরেছে বাংলাদেশ। তাই টি–টোয়েন্টি সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য মান বাঁচানোরও। তাই প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৮৩ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় টাইগাররা। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতলেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের স্বাদ নিবে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটার শামীম হোসেন বলেন, ‘দ্বিতীয় ম্যাচে জয় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঐ জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমাদের সিরিজ জয়ের ভালো সুযোগ আছে। আশা করি ভালো খেলতে পারলে এই ম্যাচেও জয় সম্ভব।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কখনও টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এর আগে পাঁচটি দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছে দু’দল। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র। আর সেটিই এখন অবধি টাইগারদের সেরা ফলাফল। সব মিলিয়ে ১৯ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। যেখানে টাইগারদের জয় ৭টিতে এবং হার ১২টিতে। আজকের ম্যাচের মধ্যে দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দীর্ঘ সফরের সমাপ্তি টানবে বাংলাদেশ। সফরের শুরুতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১–০ ব্যবধানে এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২–১ ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। সফরের শেষ ম্যাচ জিতে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে চিন্তার ভাঁজ রয়েছে টাইগার শিবিরে।
প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন–আপকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৫০ বলে ৭৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। ৭৮ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর শামীম হোসেনকে নিয়ে ৩৯ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন লিটন। ২৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন শামীম। শামীম জানান, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে জয়ের জন্য দ্বিতীয় ম্যাচের মতই ব্যাটিং করার লক্ষ্য। দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশ নিয়েই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে নামার সম্ভাবনা বেশি বাংলাদেশের। শুধু একাদশ নয়, সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের ফলটাও ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ। কারণ এই ম্যাচটি জিততে না পারলে তিনটি সিরিজই হারবে বাংলাদেশ। অন্তত এত বড় অপবাদ নিয়ে দেশে ফিরতে চায় না বাংলাদেশ দল। তাই সফরের ফাইনাল ম্যাচটা জিতে তবেই ফিরতে চায় লিটন–তাসকিনরা।