পিস্তলের গুলিতে ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক মো. রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব দুর–রে–শাহ্ওয়াজের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. মো. রায়হান শরীফকে ফৌজদারি অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা পাবেন। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল রায়হান শরীফ যেন কলেজে থাকতে না পারেন। এরই মধ্যে তাকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি এসেছে। আশা করি, শিক্ষার্থীরা এখন শান্ত থাকবেন। খবর বিডিনিউজের।
এদিকে গুলির ঘটনায় শিক্ষক রায়হান শরীফের অস্ত্রের উৎস ও অন্যান্য তথ্য জানতে আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছে ডিবি পুলিশ। সিরাজগঞ্জ জেলা ডিবির ওসি জুলহাজ উদ্দীন গতকাল বলেন, মঙ্গলবার বিকালে শিক্ষককে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তিনি অস্ত্র কোথা থেকে কিনেছেন সেই কথা স্বীকার করেছেন। তবে অস্ত্র মামলায় তার কাছে থেকে আরও তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। আদালত এখনও রিমান্ড শুনানির দিন দেননি বলে জানান ডিবির ওসি।
গত সোমবার বিকালে মেডিকেল কলেজে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে প্রভাষক রায়হান শরীফের পিস্তলের গুলিতে আহত হন আরাফাত আমিন তমাল। তিনি ওই মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস অষ্টম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার পায়ে গুলি লাগে। খবর পেয়ে পুলিশ শিক্ষক রায়হান শরীফকে হেফাজতে নেয়; তার পিস্তলটিও জব্দ করা হয়। পরে তার কাছ থেকে আরেকটি বিদেশি পিস্তলসহ বেশ কিছু গুলি–অস্ত্র উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।












