সিবিএ নেতাসহ ১০ কর্মচারীর সংযোগ খুঁজছে দুদক

যমুনার তেল চুরি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের তেল চুরিতে সিবিএ নেতাসহ ১০ কর্মচারীর সংযোগ খুঁজছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিষ্ঠানটির আবদুল্লাহ রশিদ নামের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডিপো হতে তেল পাচার ও তেল চুরি করে নামে-বেনামে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমে ওই কর্মকর্তার সাথে অতীতে একই কর্মস্থলে পদায়িত এসব কর্মচারীর যোগসাজস খতিয়ে দেখছে দুদক। ইতোমধ্যে চাঁদপুর ডিপোতে দুই লাখ লিটার ডিজেল চুরির ঘটনার সময় চট্টগ্রাম প্রধান কার্যালয় এবং মংলা অয়েল ইনস্টলেশন প্রকল্পে কর্মরত ১০ কর্মচারীর যোগসাজস খতিয়ে দেখতে বক্তব্য নিতে আগামী ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর ঘটনাস্থল দৌলতপুর ডিপো পরিদর্শন করবেন অনুসন্ধানকারী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন।
৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর ডিপো পরিদর্শন ও ঘটনার বিষয়ে জানতে ১০ কর্মচারীকে ডিপোতে অবস্থানের বিষয়ে গত ১৬ আগস্ট যমুনা অয়েলের প্রধান কার্যালয়ে চিঠি দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রুহুল আমিন। এরপর যমুনা অয়েল থেকে চিঠিতে এসব কর্মচারীকে নির্ধারিত দিনে দৌলতপুর ডিপোতে হাজির হয়ে দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়। কর্মচারীরা হলেন প্রধান কার্যালয়ে পরিচালনা বিভাগে কর্মরত ঊর্ধ্বতন সহকারী অপু দে, ঊর্ধ্বতন সহকারী কাম-টাইপিস্ট মো. শহিদুল ইসলাম, ঊর্ধ্বতন সহকারী (বর্তমানে অবসরে) এ জেড এম সালাউদ্দিন, ঊর্ধ্বতন সহকারী মো. দেলোয়ার হোসেন বিশ্বাস, অপারেটর (সি. টেক) আবদুল মালেক, অপারেটর মো. কাওছার মিয়া, অপারেটর মো. মোক্তার আলী, অপারেটর মো. ফয়সাল, অপারেটর মো. মজনু মল্লিক ও গেজার এস এম আমিনুল ইসলাম। মো. দেলোয়ার হোসেন বিশ্বাস যমুনা অয়েল কোম্পানি লেবার ইউনিয়নের (সিবিএ) সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালের জুন মাসে যমুনা অয়েলের চাঁদপুর ডিপোতে ২ লাখ লিটার তেল চুরির অভিযোগ ওঠে। ১১ জুলাই ডিপো সুপার সহকারী মহাব্যবস্থাপক শেখ মো. খাদেমুল ইসলামকে বরখাস্ত করে যমুনা অয়েল। ২৯ জুলাই চাঁদপুর ডিপোর ওই সময়ে নতুন সুপার খায়রুল কবির বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেন। ওইদিনই ওই মামলায় বরখাস্তকৃত সুপার শেখ মো. খাদেমুল ইসলাম, অপারেটর মো. মিজানুর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, মিটারম্যান মো. মজিবুল হক ও কর্মচারী মোসলেম শাহকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর থানা পুলিশ। এরপর গ্রেপ্তার হওয়া অন্য চারজনকেও বরখাস্ত করে যমুনা অয়েল কোম্পানি।
ঘটনার সময় আবদুল্লাহ রশিদ সহকারী মহাব্যবস্থাপক (ডিপো) হিসেবে পদায়িত ছিলেন। অভিযোগ ছিল, এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে তেল পাচারে জড়িত ছিলেন আবদুল্লাহ রশিদ। আবদুল্লাহ রশিদ সহকারী মহাব্যবস্থাপক (কেমিক্যাল) হিসেবে প্রধান কার্যালয়ে পদায়িত থাকার পর অবসরে যান। পরে গত ১১ মার্চ স্ত্রী ও তার বিরুদ্ধে ৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন মামলা দুটি দায়ের করেন। দুই মামলায় আবদুল্লাহ রশিদকে আসামি করা হয়েছে। আর তার স্ত্রী শামীমাকে এক মামলায় আসামি করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসার্কিট হাউস থেকে জিয়া যাদুঘর সরিয়ে ফেলা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধপঞ্চম দশম দ্বাদশে প্রতিদিন ক্লাস