সিপিবি : অন্তহীন অভিযাত্রার ৭৫ বছর

কানাই দাশ | সোমবার , ১৩ মার্চ, ২০২৩ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

অবিভক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির ১৯৪৮ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত ২য় কংগ্রেসে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমিটি গঠিত হয় ১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ। সেই তারিখকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাবর্ষ ও দিন হিসেবে পালন করা হচ্ছে। সেই হিসেবে সিপিবি প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্ণ হলো এ বছর। এ বছর ইতিহাস, দর্শন ও অর্থনীতির ক্রমবিবর্তনের বিজ্ঞান মনষ্ক ভাবনায় ঋদ্ধ মানব ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দলিল মার্কসএঙ্গেলসের রচিত “কমিউনিস্ট ইশতেহারের” ১৭৫ বছর পূর্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দেশে বিদেশে যে দলিল সামনে রেখে সিপিবি ৭৫ বছর ধরে পথ চলেছে এবং ভবিষ্যতে ও চলবে। বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর চক্রান্তে উপমহাদেশে রাষ্ট্রীক কাঠামোর পরিবর্তনের সাথে এদেশের পার্টির পরিচয় পরিবর্তন হলেও মূলত এ ভূখন্ডে কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাস শত বছরের সংগ্রাম, ত্যাগ ও আত্মদানে সমুজ্জ্বল। ১৯৪৮ সালের আগেই চল্লিশের দশকের প্রথমার্ধেই আমাদের দেশে জেলায় জেলায় গড়ে উঠে শক্তিশালী পার্টি। ১৯৪৮ সালের ৬মার্চ গুণেমানে, ত্যাগেসংগ্রামে, ব্যক্তিগত জীবনাচারের সততায় উত্তীর্ণ পূর্ব বাংলার ১২ হাজার পার্টি সদস্যের বিশাল পার্টি পাকিস্তানে যাত্রা শুরু করে ধর্মান্ধ সামপ্রদায়িকতার বিষবাষ্পে আচ্ছন্ন রাজনৈতিক পরিবেশে, রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে ৭ জন কমিউনিস্ট বন্দী হত্যাসহ সারাদেশে মুসলিম লীগের কমিউনিস্ট নিধনের হিংসাত্মক ঘটনা ও নাস্তিকতার তকমা লাগিয়ে কমিউনিস্টদের নাস্তিক বলে অপপ্রচারের চরম সামাজিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে। পরবর্তী সময়ে চরমভাবে নির্যাতিত, তখন পর্যন্ত সিংহভাগ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সমপ্রদায় থেকে আগত হাজার হাজার পার্টি সদস্যের প্রচণ্ড সামপ্রদায়িক নিপীড়নের মুখে বাধ্য হয়ে দেশত্যাগ, রণদিভের বামবিচ্যুতির আদর্শিক বিভ্রান্তিতে বিপর্যস্ত, পরবর্তীতে বিদ্যমান সমাজতন্ত্রের বিপর্যয় সহ ধারাবাহিক রাজনৈতিক, ভাবাদর্শিক ও সাংগঠনিক বিভ্রান্তি, শ্রেণিশত্রুর অব্যাহত আক্রমণে, সামাজিক পশ্চাৎপদতার নিকষ অন্ধকারে নিপাতিত হয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন পার্টির শক্তি বস্তুত ৭৫ বছরে ও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও পার্টি ’৫০ এর দশকে এসে ঘুরে দাঁড়ায়।

৫২, ৫৪, ৬৯ সহ এ এদেশের প্রগতিমূখীন রাজনৈতিক বাঁক বদলের প্রতিটি ঘটনায় সিপিবি পালন করেছে গৌরবোজ্জ্বল নির্ধারকের ভূমিকা। এসব ক্রান্তিকালে পার্টি ও তার গণমুখী সংগ্রামী ভূমিকার কারণে শক্তিতে, সামর্থ্যে সমৃদ্ধ হয়েছে। ইতিহাসের দায় মিটিয়েছে যথার্থভাবে। এদেশের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করেছে নানা কৌশলে। ইতিহাসের একটি প্রায় অনালোচিত বিষয় হলো ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণের বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে আওয়ামী লীগকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করেছে সেদিন কমিউনিস্ট পার্টি। সেদিন সিপিবি ও ন্যাপের সামগ্রিক ভাবে যে শক্তি ও সামর্থ্য ছিল তাতে সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে আওয়ামী লীগ কোন অবস্থাতেই জাতীয় পরিষদে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতনা এই সত্য সেদিন অনেক আওয়ামী লীগ নেতা স্বীকার করেছেন। যদি বৃহত্তর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেদিন পার্টি ছাড় না দিত তাহলে পশ্চিম পাকিস্তানিদের ক্ষমতা ধরে রাখা সহজ হত এবং মুক্তিযুদ্ধ হয়ে পড়তো একটি অসম্ভব ও সুদূর পরাহত বিষয়। এভাবেই সিপিবি এদেশের ইতিহাসে পালন করেছে দায়িত্বশীল, মৌলিক ও শুদ্ধ রাজনৈতিক ভূমিকা।

সদ্য স্বাধীন দেশে শাসক দলের ব্যর্থতায়, সাম্রাজ্যবাদের প্রতিশোধপরায়ণ চক্রান্তের কারণে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় অপরিমেয় ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতা হাতছাড়া হয়ে যায়। ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়ে আওয়ামী লীগ। ৭৫ পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের প্রত্যাবর্তন ঘটে ও সামরিক শাসনামলে পাকিস্তানিদের মতোই শাসকগোষ্ঠী সিপিবিকে আবারও আক্রমণ শুরু করে, পার্টিকে নিষিদ্ধ করে, পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোঃ ফরহাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ করে বিনাবিচারে বন্দী করে রাখে বছরের পর বছর। কিন্তু সবকিছুকে উপেক্ষা করে ১৯৮০র দশকে সিপিবি সামরিক শাসন বিরোধী গণতন্ত্রের লড়াইয়ে দুই বৃহৎ দলের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে। তাজুলটিটো সহ অনেক পার্টি নেতাকর্মী জীবন দিয়ে সেদিন সিপিবিকে স্বাধীনতা পক্ষের দ্বিতীয় প্রধান রাজনৈতিক দল ও শক্তিতে পরিণত করে। কিন্তু ’৭৫৯০ পর্যন্ত দীর্ঘ সামরিক শাসনামলে শাসকগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিকে দুর্বৃত্তায়িত করার কাজ শুরু করে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে ধর্মান্ধতায়, পশ্চাৎপদ সামপ্রদায়িকতায় সমাজকে বিভক্ত করে দেশের পরিস্থিতিকে প্রগতিশীল ভাবনা ও রাজনৈতিক চর্চার জন্য কঠিন করে তুলে। ’৬৯৭৫ পর্যন্ত যে প্রগতিশীল সামাজিক ভাবাদর্শ ও সমাজ মানস বামপন্থীদের বিকাশের অনুকূল পরিবেশ তৈরী করেছিল ’৭৫ এর প্রতিক্রিয়াশীল পটপরিবর্তন ও দীর্ঘ সামরিক শাসনে তা সামাজিক, আর্থিক ও ভাবাদর্শগতভাবে প্রতিকূল হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে একদিকে শাসকগোষ্ঠীর প্রতিপালিত সামপ্রদায়িকতা, ধর্মান্ধ রাজনৈতিক শক্তির ক্রম উত্থান, গ্রামেগঞ্জে পর্যন্ত সহিংস সামপ্রদায়িকতার বিস্তার, অন্যদিকে মুক্তবাজারের নামে লুটেরা কর্পোরেট হাউজগুলোর অবাধ লুন্ঠন ও অবিশ্বাস্য শক্তি অর্জন এবং এর উপজাত হিসেবে সমাজে জবরদস্তি ও দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তৃতি, অর্থের মূল্যে রাজনীতির বিপণন, সর্বোপরি বিদ্যমান সমাজতন্ত্রের বিপর্যয় সিপিবির বিকাশ ও প্রগতিশীল রাজনীতি ও সমাজ ভাবনার জন্য এক চরম বৈরী সমাজমানসের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছে। দৃশ্যমান শক্তিশালী পার্টি হিসেবে সিপিবি বিকশিত হতে না পারার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।

সমাজেরাজনীতিতে ব্যক্তির জীবনাচারে ধর্মাচারের নামে অসহিষ্ণুতা, জবরদস্তি, ধর্মের অপপ্রয়োগ সব সমপ্রদায়ের মধ্যে এখন ব্যাপক মাত্রা লাভ করেছে, বিকশিত হয়েছে এক সর্বগ্রাসী সামপ্রদায়িক সামাজিক মনস্তত্ত্ব। এমনকি কমিউনিস্ট পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যেও সমাজমানসের এই অধঃপতিত রূপের ছায়া পরিদৃশ্যমান। দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী হিসেবে একজন কমিউনিস্ট জীবন ও জগতের সবকিছুকে দ্বান্দ্বিক পরিবর্তন ও বিকাশের মধ্যে নিশ্চয়ই বিচার করবেন ও দেখবেন। এই কমিউনিস্ট বোধটুকু দেখা যায় এখন প্রগতিশীলদের মধ্যে ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে যা আবার মার্কসবাদের এই প্রতীতিকে সত্য প্রমাণ করে যে সমাজ নিরপেক্ষ প্রগতিশীল ভাবনার অধিকারি হওয়া কঠিন এবং তা নিয়মিত ও নিবিড় চর্চার বিষয়। আজকে ধর্মান্ধ ও লুটেরা সমাজ মানস এবং এর পৃষ্ঠপোষক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কমিউনিস্টদের সংগ্রাম একটি বহুমাত্রিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগ্রাম যা পার্টির প্রত্যেক সদস্য ও সমর্থককে নৈমিত্তিক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বুঝতে হবে। খন্ডিত দৃষ্টিভঙ্গি নয়, সামগ্রিক বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি কমিউনিস্টদের আধেয়, বুঝতে হবে একজন পার্টি সদস্য যতবড় নেতাকর্মী হউন না কেন এই দুর্বৃত্তায়িত সমাজের ভাইসগুলো যেমন প্রদর্শনবাদিতা, অহংবোধ, মিথ্যা মর্যাদাবোধ, বিষয়ও বিত্তের প্রতি মোহ, ইনডিভিজুয়াল সুপিরিয়রিটি প্রভৃতি নিরবচ্ছিন্নভাবে আমাদের বিদ্ধ করছে। সুস্থ ও শুদ্ধ পথে থাকতে অনবরত নিজেকে এগুলোর বিরুদ্ধে ভাবাদর্শিক ও বাস্তব কাজের মাধ্যমে লড়াই করে যেতে হবে। বস্তুত সিপিবির ৭৫ বছরের ইতিহাসে সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতির জন্য এত গভীর দুঃসময় আর আসেনি। বিশ্ব ব্যবস্থা হিসেবে সমাজতন্ত্র একসময়ে বিশ্ব মানবতার দুর্দিনের ভরসা ছিল। সর্বহারা আন্তর্জাতিকতাবাদের অটুট বন্ধনে আমাদের পার্টি আবদ্ধ ছিল বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয়ভাবে সিপিবি’র একসময়ের রাজনৈতিক মিত্র বঙ্গবন্ধু তাজউদ্দীনের আওয়ামী লীগ আজ মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। জিয়াএরশাদের লুটেরা রাজনৈতিক অর্থনীতির পৃষ্ঠপোষকে রূপান্তরিত হয়ে ক্ষমতার সমীকরণে ধর্মান্ধতাকে নানাভাবে প্রণোদনা দিয়ে চলেছে। এমতাবস্থায় সিপিবিকে মূলত একাই আজ মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শ তথা ’৭২ এর সাংবিধানিক আদর্শ বাস্তবায়ন ও সমাজ পরিবর্তনের কঠিন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। আজকের এই নজিরবিহীন দুঃসময়ে পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সারাদেশে নিষ্ঠ, নির্লোভ হাজার হাজার সিপিবি কর্মী ক্ষমতায় যাওয়া সুদূর পরাহত জেনেও শুধু আদর্শের কারণে জেলায় উপজেলায় লাল পতাকা নিয়ে আজ মিছিলে সমাবেশে সামিল হচ্ছেন। তঁাঁরাই হলেন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ও নিপীড়িত মানুষের ভরসার জায়গা।

বিশ্বব্যাপী কমিউনিস্ট পার্টির মতাদর্শ হলো মার্কসবাদ ও লেনিনবাদ। মার্কসবাদ হলো নতুন জ্ঞানের ভিত্তিতে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে, ভুল থেকে শুদ্ধের পথে, শুদ্ধ থেকে শুদ্ধতর পথে পথচলার এক সতত পরিবর্তনশীল দর্শন। মার্কসবাদ একটি দার্শনিক পদ্ধতি মাত্র কোন স্থির বিধিবদ্ধ প্রণালি বা সিস্টেম নয়। এটাকে বিধিবদ্ধ সিস্টেম ভেবে কমিউনিস্টরা পরিস্থিতি অনুধাবনে, ব্যাখ্যায় ও প্রয়োগে বার বার ভুল করেছে দেশে দেশে। বলতে গেলে বিদ্যমান সমাজতন্ত্রের বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ মার্কসবাদকে একটি পদ্ধতির বদলে সিস্টেম ভেবে, নিত্য পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় বিচার না করে প্রায়োগিকভাবে ভুল পথে চলার কারণে। সিপিবি ১৯৪৮ সাল থেকে বলতে গেলে প্রবল প্রতিকূল পরিবেশে এগিয়েছে। সেই ইতিহাস বিপ্লবী আত্মত্যাগে ঋদ্ধ ইতিহাস। সর্বশক্তি নিয়ে এদেশের মুক্তির ইতিহাস বিনির্মাণে কঠিন লড়াইয়ে নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছে। একটি পার্টি কোন বিমূর্ত সত্তা নয় তা ব্যক্তি এবং সামষ্টিক চিন্তার আধার। এজন্যে সামষ্টিক ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগুতে হয়। সব স্তরের নেতাকর্মীদের প্রচলিত পেটি বুর্জোয়া ভাইসগুলোর উর্ধ্বে উঠে নেতৃত্বের দৃঢ় আন্তরিকতায় সিপিবি অবশ্যই ইতিহাস নির্ধারিত পথে এগিয়ে যাবে। সিপিবি একটি সাম্যের সমাজ নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই সমাজ নির্মাণ এক অন্তহীন পরিবর্তনের ও বিপুল শ্রমসাধ্য বিপ্লবী কর্ম প্রক্রিয়া। সেই অন্তহীন ভবিষ্যতের পানে, সাম্যবাদী সমাজ নির্মাণে সময় সাপেক্ষ লক্ষ্যে সিপিবি এগিয়ে চলেছে। ৭৫ বছর পূর্তিতে সিপিবিকে জানাই রক্তিম শুভেচ্ছা। পরিশেষে রবি ঠাকুরের কথার প্রতিধ্বনি করে বলতে চাই, “পতনঅভ্যুদয়, বন্ধুর পন্থা যুগ যুগ ধাবিত যাত্রী / হে চির সারথি, তব রথচক্রে মুখরিত দিনরাত্রি।”

অন্তহীন পথ পরিক্রমার চির সারথি ইতিহাসের রথচক্রে দুমড়ে মুচড়ে যায় সব কালোপাহাড়ি প্রতিবন্ধকতা। ইতিহাস এগিয়ে চলে মানুষের ইচ্ছানিরপেক্ষ গতিতে। অনিবার্য পরিবর্তনের গতিতে বিশ্বাস রেখে একটি মুক্ত সমাজ গড়ার ঈপ্সিত লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে শুভবোধে বিশ্বাসে মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক : প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপারিবারিক আদালত আইন ২০২২ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা
পরবর্তী নিবন্ধখাতুনগঞ্জে চিনির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা!