১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহ ছিলো ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধ সবচেয়ে বড় একটি রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থান। সিপাহীদের দ্বারা সংঘটিত হলেও প্রকৃত পক্ষে সেটি সিপাহী বিদ্রোহ ছিলো না, তাতে সমগ্র ভারতবাসীর স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং সাম্রাজ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধে তাদের ক্রোধেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিলো। বিদ্রোহের পশ্চাতে যে জনমর্থন ও জনম্পৃক্ততা ছিলো, সেটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ইংরেজরা সিপাহী বিদ্রোহ নামে প্রচার চালিয়েছিলো। ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশিতে নবাব সিরাজদ্দৌলাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পরাজিত করে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যর ক্ষমতা কুক্ষীগত করার পর এত বড় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সম্মুখীন আর হয়নি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সিপাহী বিদ্রোহকে কার্ল মার্কস বলেছেন, প্রথম ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সুপ্রকাশ রায়, সত্যেন সেন, আহমদ ছফা প্রভৃতি লেখকদের ভাষায় তা’ ‘মহাবিদ্রোহ’ নামে চিত্রিত হয়েছে; এই বিদ্রোহের সঙ্গে ভারতবাসীর স্বাধীনতার চেতনা জড়িত ছিলো। এই বিদ্রোহের পরোক্ষ ফল হয়েছিলো এই যে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতবর্ষকে সরাসরি রাণী ভিক্টোরিয়ার শাসনাধীনে আনয়ন।
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামেও সিপাহী বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিলো। সেসময় চট্টগ্রামে অবস্থিত ৩৪ দেশীয় পদাতিক বাহিনীর ৩টি কোম্পানির সিপাহীরা বিদ্রোহ করেছিলো। সিপাহীরা শহরেও হানা দেবে এবং হত্যাকাণ্ড ও লুটপাট চালাবে আশঙ্কা করে শ্বেতাঙ্গ অধিবাসী ও সরকারি কর্মচারীগণ তাঁদের বাড়িঘর ত্যাগ করে বন্দরে গিয়ে নৌকায় চড়ে বঙ্গোপসাগরে পালিয়ে গিয়েছিলো। নৌকা মানে সরের জাহাজ, সেকালে চট্টগ্রামের জাহাজ ব্যবসায়ীরা বড় বড় সরের জাহাজ তৈরি করে সমুদ্রে বাণিজ্য করতে যেত। পাল খাটা জাহাজকে সরের জাহাজ বলা হতো। ইংরেজদেরকে জাহাজ বা নৌকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন চট্টগ্রামের একজন জাহাজ ব্যবসায়ী, তাঁর নাম আবদুল মালুম।
আবদুল মালুমের বেশ কয়েকখানি সরের জাহাজ ছিলো। তিনি ইংরেজদের তাঁর সরের জাহাজ করে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। ব্রিটিশদের চরম দুর্দিনে এই সহায়তার পুরস্কারও তিনি হাতে হাতে পেয়েছিলেন। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে সীতাকুণ্ড থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ট্রাঙ্ক রোডের পশ্চিম পাশে ৩০ মাইল এলাকার সমুদ্র থেকে জেগে ওঠা সব চর, উঠন্ত চর এবং ভবিষ্যতে যে সমস্ত চর উঠবে, সমস্ত চরাঞ্চলের মালিকানা তাঁকে দিয়ে দেয়। এই করে ৬০০ দ্রোণ জমির মালিক হয়েছিলেন তিনি। সিপাহী বিদ্রোহকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ মনে করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে লিপ্ত সিপাহীদের রোষানল থেকে ইংরেজদের রক্ষা করার অর্থ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করা। আবদুল মালুমকে সেজন্য আড়ালে ব্রিটিশের দালালও বলা হতো।
আবদুল মালুমকে হয়তো এখন কারো পক্ষে চেনা সম্ভব নয়, তবে তাঁর একজন অধস্তন পুরুষ ড. শামসুল হোসাইন চট্টগ্রামের বিদ্বৎ সমাজে সুপরিচিত মানুষ ছিলেন। তিনি প্রত্নতত্ত্ববিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের কিউরেটর ছিলেন। আবদুল মালুম তাঁর পিতামহ। আমি তাঁর চাচা গুরা মিয়া সওদাগরের কাছ থেকে এসব তথ্য জানতে পারি। ২০১১ খিস্ট্রাব্দে মধ্যম হালিশহরে তাঁর নতুন বাড়িতে শুয়ে শুয়ে গুরা মিয়া সওদাগর আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ১০১ বছর। উঠে বসতে বা দাঁড়াতে তাঁর কষ্ট হতো। আমাকে তাঁর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন আনন্দীপুর বা মগপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা হারিছদা। পরে ড. শামসুল হোসাইন এ বিষয়ে অবহিত হয়ে সাংবাদিক মুহাম্মদ শামসুল হক সম্পাদিত ‘ইতিহাসের খসড়া’ সাময়িকীতে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন।
সিপাহী বিদ্রোহের কথা যখন উঠলো, এপ্রসঙ্গে আরো কিছু কথা বলা দরকার। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ৩৪ সংখ্যক দেশীয় পদাতিক বাহিনীর অন্তর্গত ১ম, ২য় ও ৩য় কোম্পানির সৈন্যগণ চট্টগ্রামে অবস্থিত ছিলো। তাদের সদাচরণের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে বিদায় সম্বন্ধীয় নিষেধাজ্ঞার দায় হতে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। উক্ত সেনা দলের অন্তর্গত অন্যান্য কোম্পানির সৈন্যগণের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শিত হয়নি। তাদের বিষয়ে তখন ব্যারাকপুরে তদন্ত চলছিল। ৭ জুন তারিখে তৎকালীন অস্থায়ী কমিশনার মিঃ চাপমেন বেঙ্গল গভর্নমেন্টের নিকট রিপোর্ট করেন যে, চট্টগ্রামের সিপাহীগণ বিদ্রোহিগণের বিপক্ষে দিল্লি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তাদের এই বিশ্বস্ততা ও রাজভক্তির কথা গভর্নর জেনারেল পর্যন্ত স্বীকার করেছিলেন, কিন্তু তাদের সদাচরণ ও আপাতদর্শন রাজভক্তি সত্ত্বেও চট্টগ্রামের তৎকালীন অধিবাসীরা সিপাহীদের বিশ্বাস করতে পারেননি। ১৩ জুন তারিখে কমিশনার গভর্নমেন্টের নিকট রিপোর্ট করলেন, “চট্টগ্রামের সিপাহীগণ যদিও আজ পর্যন্ত এমন কিছু করে নাই, যাতে তাদের অবিশ্বাস করা যেতে পারে এবং যদিও তাদের অফিসারগণ সরলভাবে বিশ্বাস করেন যে, বিদ্রোহী সৈন্যগণের বিরুদ্ধে দিল্লী যাত্রার ইচ্ছা যেমন বলবতী, তেমনই অকপট, তথাপি এখানকার অধিবাসিগণের ইচ্ছা যে, তাদের (দিল্লী যাত্রার) প্রস্তাব যেন গভর্নমেন্ট কর্তৃক মঞ্জুর করা হয়। তাতে তাদের মনের উদ্বেগ অনেকটা দূর হবে।” যেদিন এই চিঠি লেখা হয়, সেদিন লোকের মনে স্পষ্টতই ত্রাস সঞ্চার হতে দেখা গিয়েছিলো। ১৯ জুন তারিখে ম্যাজিষ্ট্রেট মি. হেন্ডারস‘ন গভর্নমেন্টকে জানালেন, “নগর আক্রান্ত হবে এবং তার ফলে নরহত্যা ও লুটপাট হবে বলে সকল শ্রেণীর লোকের ও পর্তুগীজ অধিবাসীদের মনে দারুণ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে”।
“অনেক পরিবার বাড়ি–ঘর ত্যাগ করে বন্দরস্থিত নৌকায় গিয়ে বাস করছে। তারা সময় সময় দিবাভাগে মাত্র বাড়িতে আগমন করে।” বাঙালি এবং পর্তুগীজদের মধ্যে এরূপ ভীতি সঞ্চার হওয়ার ফলে সিপাহীদের আশু কোন ভাবান্তর উপস্থিত হয়নি। কারণ জুলাই তারিখে কমিশনার রিপোর্ট করেন “লোকের আশঙ্কা সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত হয়েছে এবং চট্টগ্রামের সেনাদলের অধিনায়ক কর্মচারি ও তাঁর সৈন্যগণের সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদ্বেগশূন্য।” পরিণামফল পরে দেখা গেল যে, ম্যাজিস্ট্রেটের কথিত রূপ লৌকিক উত্তেজনা একেবারে কারণশূন্য ছিল না; কিন্তু ১৮ নভেম্বর রাতের পূর্ব পর্যন্ত এখানে কোন বিদ্রোহ–লক্ষণ প্রকাশ পায়নি। তারপর যা ঘটে, কমিশনার তার এরূপ বর্ণনা দিয়েছেন–
“৩৪ সংখ্যক দেশীয় পদাতিক সেনাদলের অন্তর্গত তিন কোম্পানি সৈন্য ১৮ নভেম্বর রাতে ১১টার সময় হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠে। তারা জেলখানায় প্রবেশ করে সমস্ত কয়েদীদের মুক্ত করে দেয়, একজন বরকন্দাজকে হত্যা করে এবং কোষাগার হতে সমস্ত ধন লুট করে। এরপরে রাত্রে তিনটার সময় তারা তিনটি সরকারি হাতি, গোলা বারুদ ও টাকা পয়সা নিয়ে ঐ স্থান পরিত্যাগ করে।
বিদ্রোহীরা মির্জাপুর ব্রিজ দিয়ে মুরাদপুর যায় এবং পিলখানা থেকে হাতি নিয়ে পালিয়ে যায়। পিলখানা ছিলো বর্তমান মুরাদপুরের ওদিকে। চট্টগ্রাম ত্যাগ করে বিদ্রোহিগণ উত্তরদিকে গমন করে এবং ২২ নভেম্বর ফেনী নদী পার হয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করে। স্ত্রীলোক, বালক–বালিকা ও কারাগার–মুক্ত কয়েদীসহ তারা ৫০০ লোক ছিল। ত্রিপুরা ও চট্টগ্রাম উভয়স্থানেই যদিও তারা বাজারাদি লুণ্ঠন হতে বিরত ছিল এবং যদিও তারা ক্রীত দ্রব্যাদির জন্য উচ্চ মূল্য দিয়েছিলেন, তথাপি রসদের অভাবে তাদের দুরবস্থার সীমা ছিল না এবং অনেক স্ত্রীলোকই খাদ্যাভাবে মারা পড়ে। তারপরে তারা পার্বত্য ত্রিপুরার সীমান্তদেশ দিয়ে সিলেট ও কাছাড়ে যাত্রা করে, কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখে যে, কোম্পানির রাজ্যের বাইরেও তারা নিরাপদ নয়। তাদের প্রায় সকলেই সিলেটস্থিত পদাতিক সৈন্যদলের এবং কুকী সৈন্য দলের হাতে মারা পড়ে বা বন্দি হয়।
চট্টগ্রামে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দিতে যখন সওদাগর ও জাহাজ ব্যবসায়ীদের আধিপত্য ছিলো, আবদুল মালুম সেই সময়ের মানুষ। তাঁর জীবনকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা যায়, তিনি অষ্টাদশ শতাব্দির অন্তভাগ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দির সত্তরের দশক পর্যন্ত বর্তমান ছিলেন। তিনি সেকালের একজন ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন এবং লাখের বাতি জ্বালিয়েছিলেন অর্থাৎ লাখপতি ছিলেন। আবদুল আলী মালুম বর্তমান মধ্যম হালিশহরের হাজী রমজান আলীর পুত্র।”
বিদ্রোহী সিপাহীরা যে ট্রেজারি লুট এবং জ্বালিয়ে দিয়েছিলো, সেটা কোথায় ছিলো। বর্তমানে কোর্ট বিন্ডিং–এ আছে ট্রেজারি। কিন্তু সিপাহী বিদ্রোহের সময় চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং তৈরি হয়নি। তখন বিচারালয় ছিলো মাদ্রাসা পাহাড় নামে পরিচিত বর্তমানে হাজি মহসিন কলেজের পাহাড়ে। তখন বর্তমান জেলখানাও তৈরি হয়নি। জেলখানা অন্য কোথাও ছিলো, যেটা ভেঙে বিদ্রোহী সিপাহীরা বন্দিদের মুক্ত করে দেয়। বর্তমান চকবাজারের পূর্বদিকে উর্দু লেইন নামে যে গলি আছে সম্ভবত সৈন্যদের শিবির সেখানে ছিলো।
আবদুল আলী মালুম সম্পর্কে বলতে গিয়ে গুরা মিয়া সওদাগর সেই সময়ের চট্টগ্রাম সম্পর্কে অনেক কথা বলেন। তিনি বলেন, আবদুল আলী মালুম সেই সময়ের মানুষ, যখন চট্টগ্রাম জাহাজ নির্মাণ শিল্প, নৌবাণিজ্য ও নৌ চালনার জন্য বিশ্ববিখ্যাত ছিলো। তখনো কলের জাহাজ আবিষকৃত হয়নি, পালতোলা জাহাজে করেই আমীর সওদাগর আর চাঁদ সওদাগররা বাণিজ্যের পসরা সপ্তডিঙ্গা, ময়ুরপঙ্খী নাও ভরে কালাপানি ছাড়িয়ে পৌঁছে যেত অতি দূর সমুদ্রে সিংহল বন্দর, যাভা, মালয়, লাক্ষা দ্বীপে। এইসব জাহাজের সারেং, মালুম, সুকানি, টেন্ডল, খালাসি সকলেই ছিলো চট্টগ্রামের অধিবাসী।
বঙ্গোপসাগর উপকূল, কর্ণফুলী নদীর মোহনায় প্রাকৃতিক বন্দর চট্টগ্রামের বিশেষ ভূ–প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যই যেন অনাদিকাল থেকে এখানকার মানুষের জীবন ও জীবিকার চরিত্র নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলো। আবদুল মালুমের বসতি স্থান হালিশহর বঙ্গোপসাগরেরই উপকূলবর্তী এক জনপদ। যেখানে নৌকা ও জাহাজসংশ্লিষ্ট কর্মই অনন্য বিকল্প জীবিকা।
আবদুল আলী মালুমের পিতা হাজি রমজান আলী ছিলেন টিম্বার মার্চেন্ট, তাঁর আদি নিবাস বাকলিয়া নূর নগরে। তাঁর পিতার নাম হাজি খুশা। রমজান আলী হালিশহরের আছদ আলী মালুমের বোনকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে বাস করতে থাকেন। এই আছদ আলী মালুম প্রাচীন চট্টগ্রামের অতি বিখ্যাত একজন জাহাজ ব্যবসায়ী। তাঁর সম্পর্কে ‘চট্টগ্রামের ইতিহাস’ রচয়িতা পূর্ণচন্দ্র চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘সেই কালে মদন কেরানি, জগমোহন মহাজন, গুমানী মালুম, আছদালী মালুম, আকবর আলি মালুম, দেওয়ানালি, রঙ্গ্যাবছির, জর্বর আলি সওদাগর, কোর্বান আলি সওদাগর, আবজান বিবি, আচমত আলি সদাগর, ধনু সদাগর, বক্স আলি, দাতারাম চৌধুরী প্রভৃতির অনেক বাণিজ্য জাহাজ ছিল (চট্টগ্রামের ইতিহাস : দ্বিতীয় অধ্যায়, ব্যবসা ও বাণিজ্য)।
অবশ্য আবদুল মালুমের একজন বংশধর ব্রিটিশবিরোধীও হয়েছিলেন। তিনি হচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের সাবেক কিউরেটর ড. শামসুল হোসাইনের পিতা সেকান্দার হোসেন। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির অঙ্গ সংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের নেতা ও চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি চল্লিশের দশকে কমিউনিজমে দীক্ষা নিয়ে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেকান্দার হোসেন গুরা মিঞা সওদাগরের জেঠাত ভাই এবং আবদুল মালুমের প্রপৌত্র।
লেখক : সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতি সংগঠক।