সিনহা হত্যার দুই বছর আজ

দ্রুত রায় কার্যকরের আকুতি মায়ের

| রবিবার , ৩১ জুলাই, ২০২২ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

আমার একমাত্র প্রত্যাশা যারা আমার ছেলেকে হত্যা করে আমার বুক খালি করেছে, সেইসব মানুষ নামধারী নরকের কীটদের যেন দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। আমি আশায় বুক বেঁধে আছি সেই দিনের জন্য যেদিন এদের ফাঁসি হবে, আমার মনটা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে। কথাগুলি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মা নাসিমা আক্তারের। ছেলেকে হারানোর দুই বছরে এসে হত্যাকারীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের আশায় দিন গুণছেন এই মা। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কঙবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। নানা মোড় পেরিয়ে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার মোট ১৫ আসামির দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাত জনকে খালাস দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতে মামলাটি আপিলে রয়েছে।
সিনহার মা নাসিমা আক্তার আরও বলেন, আমার ছেলে ছিল আমাদের জন্য প্রাণের উৎস। সে যখনি সুযোগ পেয়েছে শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণে এগিয়ে গিয়েছে। যেসব নরপিশাচরা আমার ছেলেকে হত্যা করে আমার বুক খালি করেছে তাদেরকে আমি কোনোদিন ক্ষমা করবো না। পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে তো বিচার দিয়েই রেখেছি। দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখে তিনি বলেন, আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বিচারের রায় কার্যকর হবে এবং এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে মানুষের জন্য। আর কেউ এভাবে কোনো মায়ের বুক খালি করার মতো দুঃসাহস দেখাবে না। এমনটাই প্রত্যাশা সন্তানহারা এই মায়ের।
দুই বছরে এসে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, এ মামলার রায় হওয়ার পর আদালতের সব কাগজ-পত্র উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের পক্ষে হাইকোর্টে দুই আপিলও করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিকভাবে এ ধরনের আপিলের শুনানি করতে সময় লাগে। এখন আদালত কখন শুনানি করে তা দেখার অপেক্ষায়। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি দ্রুত শুনানি করা জরুরি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে গৃহবধূকে গণধর্ষণে দুই আসামি গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধদেড় কোটি টাকার স্বর্ণালংকারসহ রোহিঙ্গা মা ছেলে আটক