জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকার বিষয়টি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেছেন, তিনি যে পরিস্থিতিতে ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছেন তাতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সেটির প্রভাব থাকবে। গতকাল শনিবার এনডিটিভি লিখেছে, হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে আলাপচারিতায় জয়শঙ্করের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শেখ হাসিনা যতদিন চান ততদিনই ভারতে থাকতে পারবেন কিনা? জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, এটা একটা ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন। তাকে ঘিরে যা ঘটছে তাতে সেই পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু তারপরও, এটা এমন এক বিষয়ে যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে, বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।
নয়া দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে প্রতিবেশী দেশে বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ভারতের অবস্থানের ওপর জোর দেন তিনি। বাংলাদেশের অতীত রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যা শুনেছি, বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে যারা এখন ক্ষমতায় আছেন, তাদের আগের নির্বাচনগুলো যেভাবে হয়েছে তা নিয়ে অসন্তোষ ছিল। এখন নির্বাচনই যদি ইস্যু হয়ে থাকে, তাহলে প্রথম কাজই হওয়া উচিত একটি ন্যায়সঙ্গত নির্বাচন। ভবিষ্যৎ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে এ প্রসঙ্গের ইতি টানেন তিনি।
প্রতিবেশী দেশে গণতান্ত্রিক অগ্রাধিকারের পক্ষে ভারতের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের দিক থেকে, আমরা বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করি। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা মনে করি, যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশ জনতার ইচ্ছা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করতে পছন্দ করে। আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যারাই আসুক, সম্পর্কের বিষয়ে তাদের ভারসাম্যগত ও পরিপক্ক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে এবং আশা করছি যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে, বলেছেন তিনি।











