সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮ থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ৭৩৫টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথে ইভিএম’র মাধ্যমে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে পুরো নির্বাচনী এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। আশা করছি আনন্দ মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারবো।-বাংলানিউজ
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন।
নির্বাচনে মোট ২৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন। মেয়র পদে ৭ প্রার্থীরা হলেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন, মিনার প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, আম প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম, চেয়ার প্রতীক নিয়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও হাতি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে খোকন চৌধুরী।
নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে মাঠে থাকবেন ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৬৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া মোট ১৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও সক্রিয় থাকবেন চসিক নির্বাচনে। এরমধ্যে ৭ হাজার ৭৭২ জন্য পুলিশ সদস্য, ২৫ প্লাটুন বিজিবি র্যাবের ৪১টি টিম, পুলিশের রিজার্ভ টিম ও ৩ হাজার ৮০০ আনসার সদস্যও মোতায়েন থাকবেন নির্বাচনী এলাকায়। নির্বাচনে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৬টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ ও ৩১৯টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৮ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ১৬ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।