সিটি কর্পোরেশন এলাকাকে মশকমুক্ত করা হোক

| মঙ্গলবার , ১১ এপ্রিল, ২০২৩ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

সিটি কর্পোরেশন মাঝে মধ্যে মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করলেও মশা কমেনি বরং মশার উপদ্রব মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার উপদ্রবে উপদ্রুত এই শহরবাসী প্রতিটি মানুষের কাছে রাত আসে দুঃস্বপ্ন হয়ে। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে ধুপধুনা, কয়েল ও আগরবাতি জ্বালিয়ে মশার অত্যাচার হতে রেহাই পাওয়ার জন্য চলে ব্যর্থ প্রয়াস। সন্ধ্যা নাগাদ শুরু হয় মশক সংগীত। মশারির নীচেও অত্যাচার হতে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। মশার অত্যাচারে বিশেষ করে ছাত্র/ছাত্রীরা সুষ্ঠুভাবে লেখাপড়া করতে পারছে না। সিটি কর্পোরেশন এ পর্যন্ত শহরাঞ্চল এবং আশেপাশের এলাকায় পরিচ্ছন্নতার তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে শহর এলাকার ঝোপঝাড়, নালানর্দমা, খাল ও ডোবাগুলি মশককুলের বংশ বিস্তারের প্রসূতিগারে পরিণত হয়েছে। মশার বংশ দিনে দিনে আজ বেড়েই চলেছে। আসলে মশক নিধনের প্রতিটি অভিযানই ছিল কম বেশি লোক দেখানো। মশার আক্রমণে অতিষ্ঠ নাগরিকদের শোরগোলের মুখে সিটি কর্পোরেশন অভিযান চালাতে বাধ্য হন এবং প্রতিবারেই দায়সারাভাবে কোনোরকমে তারা কাজ করেন। আর তাই মশা নির্মূলের অভিযান শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। মশক কুল আর নির্মূল হয় না। কিন্তু মশার দংশনে অতিষ্ঠ মানুষ তবুতো চায় এই ক্ষুদে দুশমনের বিরুদ্ধে সরকার একটা কিছু করুন। তাই আমরা অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশন এলাকাকে মশকমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় এবং ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এম.. গফুর

বলুয়ার দিঘির দক্ষিণ পশ্চিম পাড়,

কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশরৎকুমারীর চৌধুরাণী : রবীন্দ্রঘনিষ্ঠ লেখিকা
পরবর্তী নিবন্ধরক্ত দিন রক্তের বাঁধনে বাঁধুন