গত বছরের আগস্টে দেশে পট পরিবর্তনের পর দেশের সব জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা সমুহ ভেঙে দেওয়া হয়। পরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী এডহক কমিটি গঠন করা হয়। এডহক কমিটি গঠনের দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এখনো সবকটি সাব কমিটি গঠন করতে পারেনি এডহক কমিটি। গতকাল পর্যন্ত অবশ্য বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ রাজনীতির এবং ক্রীড়াঙ্গনের বাইরের মানুষ। যাদের সাথে ক্রীড়াঙ্গনের সংশ্লিষ্টতা নেই মোটেও। এরই মধ্যে গঠিত হয়েছে ক্রিকেট কমিটি। যেখানে বেশিরভাগই ক্রিকেটার। আবার লিগ খেলছেন এমন ক্রিকেটারও রয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে তারা কি খেলবে না খেলা আয়োজন করবে। গতকাল আরো তিনটি সাব কমিটি দেওয়া হয়েছে। যেখানে ক্রীড়াঙ্গনের মানুষের সংখ্যা অতি নগন্য। গতকাল ঘোষণা করা সাঁতার কমিটিতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে সৌরভ প্রিয় পাল নামে একজনকে। তিনি একজন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী। তবে সম্পাদক করা হয়েছে সাবেক জাতীয় সাঁতারু মাহবুবুর রহমান সাগরকে। বিকেএসপির সাবেক এই ছাত্র দীর্ঘ দিন ধরে সাঁতারের সাথে জড়িত। কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান হলেন ওমর ফারুক সাগর। যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে মারওয়ানুল ইসলামকে। এছাড়া সদস্যরা হলেন আলি হাসান রাজু, ইমরান এমি, রাশেদুল আলম, সুলতানুল আরেফীন, বিজয় ইন্তেসার, আতাউল্লাহ বিন নুর এবং রাজিবুল হক বাপ্পি। এছাড়া এডহক কমিটির পাঁচজন রয়েছেন সাঁতার কমিটিতে সদস্য হিসেবে।
একইভাবে ব্যাডমিন্টন কমিটিতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে এমদাদুল হক বাদশাহকে। খোজ নিয়ে জানা গেছে তিনিও যুবদলের একজন নেতা। দুজন ভাইস চেয়ারম্যান হলেন সালাউদ্দিন খান এবং তানভীর আহমেদ চৌধুরী। সম্পাদক করা হয়েছে সাবেক জাতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা মোস্তফা মোহাম্মদ জাবেদকে। বিগত সময়ে চট্টগ্রামের ব্যাডমিন্টনে জায়গা হয়নি এই জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়ের। কমিটির সদস্যরা হলেণ তৌহিদ হোসেন, মাহমুদুর রহমান মাহবুব, শহীদুল সুমন, আশরাফুল কাদের চৌধুরী, মাসুদুল করিম, নুরুল হক, রাকিব উদ্দিন, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ জাহেদ, এস এস এম সাজ্জাদ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ফরহাদ জ্যাকি। এছাড়া এডহক কমিটির পাঁচজন সদস্য রয়েছেন কমিটিতে।