সিজেকেএস প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের বাইলজ নিয়ে অভিযোগ তুলেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। বাইলজের অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তির কারণে তাদের চরম খেসারত দিতে হয়েছে উল্লেখ করে জেলা ক্রীড়া সংস্থা বরাবর চিঠি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র (লাল)। তাদের অভিযোগ গত ১১ মে ক্রিকেট লিগে শিরোপাধারী আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে জাতীয় তারকা ফজলে রাব্বিকে মাঠে এনেও খেলাতে পারেনি তারা। ক্রিকেট সম্পাদকের নির্দেশনা মোতাবেক তার রেজিস্ট্রেশন ফর্ম গ্রহণ করেননি ম্যাচ রেফারি। তার মতে, মুক্তিযোদ্ধার প্রিমিয়ার কোটার ৭ জনের রেজিস্ট্রেশন পূর্ণ হয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তারা সিজেকেএস ক্রিকেট বাইল‘জের ১৩(গ) ধারা উল্লেখ করে বলেন, ‘ঢাকা প্রিমিয়ারে খেলা চট্টগ্রামের স্থানীয় একজন (ফিঙড) এবং বহিরাগত কোটায় ৭ জন রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে । যার মধ্যে প্রতি ম্যাচে ২ জন খেলতে পারবে’। আর এই নিয়মেই ইস্পাহানী এস সি এবং আগ্রাবাদ নওজোয়ান ক্লাব খেলোয়াড় খেলিয়েছে বলে তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধার কর্মকর্তারা। তারা এই দুই দলে খেলা খেলোয়াড়দের নামের তালিকাও প্রদান করেন। এটিতে তারা দ্বৈত নীতি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন । সিজেকেএস ক্রিকেট সম্পাদক এ বিষয়টার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ না করায় তা প্রমাণিত হয়নি বলে জানান। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তা বলতে পারেননি। লিগের বাইলজ অনুযায়ী এটা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ্ কিন্তু সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটি এই বিষয়ে কোন ধরনের শাস্তি বা সিদ্ধান্ত দেওয়ার মত সক্শমতা রাখেনা বলে াবিযোগ করে মুক্তিযোদ্ধার কর্মকর্তারা। যে কারণে প্রিমিয়ার লিগের মত একটি আসর হাস্যকর আসরে পরিনত হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। যদিও ম্যাচের দিন শেষ পর্যন্ত সিজেকেএস সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান এসে বাইল’জে অস্পষ্টতা আর বিভ্রান্তির বিষয়টি অবলোকন করে খেলাধূলার বৃহত্তর স্বার্থে ক্রিকেট সম্পাদকের ব্যাখ্যা মেনে খেলায় অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান এবং আগামীতে বাইল’জের ত্রুটি–বিচ্যুতিগুলো সবার পরামর্শক্রমে দুর করার প্রতিশ্রুতি দেন। আর তাতে মুক্তিযোদ্ধা খেলতে রাজি হলেও তাদের যে ক্ষতি হয়ে গেল তার পরিণতি কি হবে তা জানতে চেয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থা বরাবর চিটি দিয়েছে। সে সাথে এ ধরনের সমস্যার কারণে জাতীয় ক্রিকেটাঙ্গনে চট্টগ্রামের অবস্থান দিন দিন কোথায় যাচ্ছে সে প্রশ্নও রাখেন ক্লাবটির কর্মকর্তারা।