৫ জুলাই পরবর্তী সময়ে ভুল তথ্য ও গুজবের ব্যাপক বিস্তার হয়েছে দাবি করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, ভুল তথ্য ও গুজব এটি জনসচেতনতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। অথচ তথ্য যাচাইয়ের দক্ষতা আধুনিক সাংবাদিকতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি গত রবিবার সাংবাদিকদের তথ্য যাচাই এবং ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত দিনব্যাপী ফ্যাক্ট-চেকিং কর্মশালায় এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে হোটেল-এ অনুষ্ঠিত এই কর্মশালাটি সিজিএস-এর আটটি বিভাগজুড়ে চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ধারাবাহিক অংশ। কর্মশালায় জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের ২৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। জিল্লুর রহমান বলেন, সিজিএস বরাবরের মতই সুষ্ঠুধারার সাংবাদিকতা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং সঠিক সাংবাদিকতা নিশ্চিতে ফ্যাক্ট-চেকিং অপরিহার্য। তাই বিগত বছরগুলোর মতই এ বছরও সিজিএস সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে সারাদেশে কর্মশালার আয়োজন করছে। এই কর্মশালা পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ, যা তাদেরকে আধুনিক ফ্যাক্ট-চেকিং টুলস ব্যবহার করে আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানটি ফ্যাসিলিটেট করেন সিজিএস’র গবেষণা সহযোগী দেবী কর্মকার। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন দ্যা ডিসেন্ট এর সম্পাদক ও এএফপি বাংলাদেশের সাবেক ফ্যাক্ট-চেকিং সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে ভুল তথ্য সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটি প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের জন্য সঠিক তথ্য যাচাইয়ের সক্ষমতা গড়ে তোলা শুধু প্রয়োজনীয় নয়, বরং অপরিহার্য। সিজিএস যে দেশব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তা একটি বাস্তব ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ডিজিটাল ভেরিফিকেশন টুলস, সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্লেষণ, ওপেন সোর্স অনুসন্ধান কৌশলসহ তথ্য যাচাইয়ের বিভিন্ন আধুনিক পদ্ধতি শেখানো হয়। কর্মশালায় সিজিএস’র তৈরি করা ‘ফ্যাক্টচেকিং হাব’ (www.factcheckinghub.com ) প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করা হয়, যা দেশের বিভিন্ন স্বীকৃত ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থার যাচাইকৃত তথ্য সংরক্ষণ ও উপস্থাপন করে। অংশগ্রহণকারীরা একে তাদের পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি সহায়ক টুল হিসেবে অভিহিত করেন।