সিঙ্গাপুরের ১০ ব্যাংকের নথি তলব

| শুক্রবার , ২৫ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

এক বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার অর্থপাচারের তদন্তে অন্তত ১০টি ব্যাংককে কাগজপত্র জমা দিতে বলেছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ। তদন্তে এখন পর্যন্ত দুটি ব্যাংকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যাংক দুটি হলো সিটি গ্রুপের সিঙ্গাপুর সাবসিডিয়ারি এবং মালয়েশিয়ার সিআইএমবি। বাকি ৮ ব্যাংকের নাম জানানো হয়নি। তবে এই অর্থপাচারে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম এখন পর্যন্ত শোনা যায়নি। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে এতথ্য জানা গেছে। তদন্তে নাম আসা একটি ব্যাংকের পরিচালক পক্ষ সিটি গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা অর্থ পাচার ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সরকারের নীতি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। অন্যদিকে সিআইএমবি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। খবর বাংলানিউজের।

একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ৪০০ কর্মকর্তার যুগপৎ অভিযানে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে স্ক্যাম এবং অনলাইন জুয়ার পাশাপাশি নথি জালিয়াতিসহ বিদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। আটকদের মধ্যে চীন, সাইপ্রাস, তুরস্ক ও ভানুয়াতুর নাগরিক রয়েছেন। তাদের সবার কাছেই চীন থেকে ইস্যু করা পাসপোর্ট ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি আইনজীবীরা গত বুধবার আদালতকে জানিয়েছেন, তারা সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় মানিলন্ডারিংয়ের ঘটনায় গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কাগজপত্র চেয়েছেন।

এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরের মনিটারি অথরিটি জানিয়েছে, সন্দেহজনক অর্থের প্রবাহ এবং ডকুমেন্টেশনের সঙ্গে অন্যান্য অসঙ্গতির কারণে ব্যাংকগুলো কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিল, যার ফলে এই তদন্ত শুরু হয়। গেল সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এমএএস বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এমন দুর্নীতির তহবিলের সন্ধান পাওয়া গেছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্ভাব্য তহবিলগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নজরদারির মধ্যে রাখার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এদিকে দ্য স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে যে, সন্দেহভাজন অর্থপাচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত ২০ সংস্থার মধ্যে ১১টি ‘সচল’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও নিবন্ধিত ঠিকানায় তাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

এগুলোর মধ্যে আছে গোল্ডেন ঈগল এসেস্টস এবং গোল্ডেন ঈগল ফ্যামিলি অফিস। দুটি প্রতিষ্ঠানই ৪৪ বছর বয়সি ঝ্যাং রুইজিনকে পরিচালক হিসেবে দেখিয়েছে। যিনি সেন্ট কিটস ও নেভিস আইল্যান্ডের নাগরিক বলা হলেও ধারণা করা হচ্ছে তিনি চীনের ফুজিয়ানের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী, কোম্পানিগুলোকে তাদের নিবন্ধিত অফিস সাধারণ দিনে ব্যবসায়িক কর্মঘণ্টায় কমপক্ষে তিন ঘণ্টা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং সেবা দিতে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক লরেন্স লোহ বলেন, ব্যবসা শুরু করা এবং কোনো লেনদেনে না যাওয়া সহজ। তবে নিষ্ক্রিয় কোম্পানিকে অবশ্যই অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড করপোরেট রেগুলেটরি অথরিটির কাছে তা জানাতে হবে বলে যোগ করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্যালিফোর্নিয়ায় বারে গোলাগুলিতে নিহত ৪, আহত ৬
পরবর্তী নিবন্ধমায়ের দ্বিতীয় বিয়ে দিলেন অভিনেতা