সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে হড়কা বান ১৪ মৃত্যু, নিখোঁজ ১২০

ঢলের তোড়ে ধসে গেছে ১৪টি সেতু

| শুক্রবার , ৬ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

সিকিমের উত্তরাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিতে লোনক হ্রদের পানি উপচে তিস্তা নদীতে দেখা দেওয়া হড়কা বানে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২২ জন সেনাসহ ১২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ঢলের তোড়ে ১৪টি সেতু ধসে গেছে এবং রাজ্যের বিভিন্ন অংশে তিন হাজারের বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।

মঙ্গলবার রাতভর ভারি বৃষ্টির পর বুধবার সকালে পর্বত থেকে নেমে আসা পানির প্রবল চাপে সিকিমের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুংথাং বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে যায়। তাতে তিস্তা নদীর নিম্ন প্রবাহের অনেক এলাকা হড়কা বানে ভেসে যায়। সিকিম রাজ্য সরকার এ পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। নিখোঁজ ২৩ সেনার মধ্যে একজনকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছে তারা।

হড়কা বানে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিস্তা পাড়ের পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি ও মঙ্গন জেলা। এসব এলাকায় প্রচুর পর্যটক ছিল বলে জানা গেছে। তাদের বড় একটি অংশ আটকা পড়েছেন। পাকিয়ংয়ের রাংপো, গ্যাংটকের সিংটাম ও ডিকচু, মঙ্গনের চুংথাং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকার বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেক এলাকায় তীব্র গতিতে নেমে আসা পানির ধাক্কায় ভবন ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট, আবাসিক এলাকা নেমে আসা কাদার স্রোতে চাপা পড়ে আছে। সেনাঘাঁটির অবস্থাও একই রকম। ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে সিকিমে প্রবেশের প্রধান পথ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে শিলিগুড়ি ও সিকিমের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি ও মঙ্গনের সব স্কুল আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হড়কা বানে ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ায় চুংথাং ও সিকিমের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ব্রডব্যান্ড কানেকশন বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। চুংথাংয়ের পুলিশ স্টেশনও ধ্বংস হয়ে গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ৪৯
পরবর্তী নিবন্ধপাঁচ মাস পর মিথিলার প্রশংসায় সৃজিত