চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের ৬২তম সভা গতকাল শনিবার দুপুরে সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিএমসিসিআই সহ–সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিএমসিসিআই সহ–সভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, এম সোলায়মান এফসিএমএ, মো. শাহ আলম এবং বিএসআরএম গ্রুপের কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স ইফাত।
পরিচালনা পর্ষদের সভায় জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরে শুক্র ও শনিবার আগে ই–পেমেন্ট করা যেত না। সিএমসিসিআই’য়ের পক্ষ থেকে গত ৬ জুন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সার্বক্ষণিক ই–পেমেন্টের ব্যবস্থা করার বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে গত ১৪ জুলাই নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে, এখন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সব ধরনের মাশুল অনলাইনে পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া আগে এইচএস কোড ভুল হলে সেটি মিথ্যা ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করতো চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবে সিএমসিসিআই’য়ের বাজেট প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে এখন কোনো পণ্যের শুল্কহারের ব্যবধান ৪ হাজার টাকার বেশি হলেই মিথ্যা ঘোষণা হিসেবে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হবে বলে সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
অপরদিকে এক সময় মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি করা হলে চারগুণ জরিমানা করা হতো, সিএমসিসিআই’য়ের বাজেট প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে জরিমানা দ্বিগুণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা মনে করি, জাতীয় পর্যায়ে দুটি বড় সংশোধনীতে ভূমিকা রাখা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের বড় অর্জন।