সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজের সাথে গত ৮ জুলাই রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে রিজিওনাল কমিটির নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়। সভায় রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিএমপি কমিশনারের কাছে রিহ্যাবের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি তুলে ধরেন। এসময় তিনি উল্লেখ করেন, রিহ্যাব সদস্য, ভূমি মালিক ও ক্রেতার সাথে সৃষ্ট মতবিরোধ রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ধারা ৩৬ (১) এর অনুবলে প্রথমে আপোষে নিষ্পত্তির প্রচেষ্টার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সভায় রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে কোনো মতবিরোধ সৃষ্টি হলে থানায় অভিযোগ গ্রহণের আগে রিহ্যাবের মেডিয়েশন অ্যান্ড কাস্টমার কেয়ার কমিটি বরাবর প্রেরণের অনুরোধ করেন। এছাড়া, প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় ভূমি মালিক, প্রভাবশালী ব্যক্তি ও থানা পুলিশসহ বিভিন্ন প্রকার হয়রানির শিকার হতে হয়। এতে ডেভেলপার কোম্পানি আর্থিক ক্ষতি ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়। এ বিষয়েও তিনি সংশ্লিষ্ট থানায় অযথা হয়রানি না করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের আহ্বান জানান। সভায় তিনি রিহ্যাব সদস্য, ভূমি মালিক ও ক্রেতার সাথে সৃষ্ট মতোবিরোধ বা অন্য কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য রিহ্যাব এবং পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।
মতবিনিময় সভায় সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ দেশের আবাসন সংকট সমাধানে রিহ্যাবের অবদান এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। এসময় তিনি রিহ্যাব সদস্যদের সাথে সৃষ্ট সমস্যাগুলি রিহ্যাব এবং পুলিশের সমন্বয়ে সমাধানের সিএমপির পক্ষ থেকে উপ–পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কে অফিসিয়ালি দায়িত্ব প্রদান করেন। এছাড়া, রিহ্যাব সদস্যদের যে কোনো সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের জন্য প্রতিটি থানায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের পরিচালক ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো চেয়ারম্যান (১) মোহাম্মদ মোরশেদুল হাসান, সদস্য সৈয়দ ইরফানুল আলম, নূর উদ্দিন আহাম্মদ, মোহাম্মদ মাঈনুল হাসান এবং সিএমপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশিনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. রইছ উদ্দিন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।