‘আমার টাকায় আমার সেতু, বাংলাদেশের পদ্মা সেতু’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে, বেলুন উড়িয়ে আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের সদস্যরাও শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সমাজের নানা স্তরের মানুষকেও শোভাযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
এ সময় সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু ১৭ কোটি জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন। সকল অনিশ্চয়তা পেছনে ফেলে অদম্য বাঙালির স্বপ্নের চিত্রায়ন। এর ফলে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হল। সম্প্রসারিত হবে দেশের বিকাশমান অর্থনীতি ও পর্যটন খাত। সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে, যার সুফল ভোগ করবে দেশের মানুষ। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে থানায় সেবা নিতে আসা নাগরিকদের মিষ্টিমুখ করিয়েছে পুলিশ। সিএমপির ১৬ থানা ও থানার আশেপাশের মানুষদের মধ্যে একযোগে দিনব্যাপী এই মিষ্টি বিতরণ করা হয়। গতকাল নগরীর বিভিন্ন থানাতে ঘুরে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে।
এদিকে বাংলাদেশ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের সদস্যরাও শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য সচিব অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ, সমাজের নানা স্তরের লোকজন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলা পুলিশের আনন্দ র্যালি গতকাল সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীসহ চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলা পুলিশ সদস্য এবং রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে সকলের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরে স্টেশনে এলইডি স্ক্রিনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপভোগ করেন, রেলওয়ের (পূর্ব) মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, রেলওয়ে চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. আবুল কালাম চৌধুরীসহ রেলওয়ের বিভিন্ন কর্মকতা, কর্মচারী, রেলওয়ে পুলিশের অফিসার/ফোর্স, আরএনবিসহ স্থানীয় জনসাধারণ।












