বোয়ালখালীতে যাত্রীবাহী একটি বাসের ধাক্কায় চালকসহ টেক্সিতে থাকা ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আরাকান সড়কের রায়খালী সেতুর মোড়ে অ্যারিনা গার্মেন্টসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ঘাতক বাস চালককে আটক করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন– নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন পূর্ব মাদারবাড়ী দারোগাহাট রোড ও ফটিকছড়ি এলাকার বাসিন্দা জালাল আহমদের ছেলে মো. সেলিম (৪৫), মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের মো. আদিলের স্ত্রী অঞ্জনা বেগম (৩৫), পটিয়া কররনখাইন গ্রামের বলরাম দে’র ছেলে বাবুল দে (৬০), কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে আবু ফয়েজ (২৫) ও পটিয়া দৌলতপুর এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র মো. করিম (৫৪)।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানান, চট্টগ্রাম থ–১৪–৮১৮৪ নম্বরের যাত্রী বোঝাই সিএনজি টেক্সিটি পটিয়া থেকে বোয়ালখালী–কালুরঘাট সেতুর দিকে যাচ্ছিল। সকাল ৮টার দিকে সেটি রায়খালী সেতুর মোড়ে পৌঁছালে বিপরীতমুখী নেত্রকোনাগামী ময়মনসিংহ–ব–১১–০১৭৬ নম্বরের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পুরোপুরি দুমড়ে–মুচড়ে যায় টেক্সিটি। এ সময় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সিএনজি টেক্সিতে থাকা ছয় যাত্রীর মধ্যে চালকসহ চার জনের। অপর দু’জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ–পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, আহত অবস্থায় দুজনকে আনার পর চিকিৎসক আবু ফয়েজ নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুল জলিল (২৫) নামের পটিয়া বাদামতল এলাকার আরেক যুবক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি নেত্রকোনা থেকে বুধবার ভক্তদের নিয়ে বোয়ালখালী উপজেলা হাওলা দরবারের ওরশে এসেছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বাসটি ভক্তদের নিয়ে গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছিল। কালুরঘাট সেতু দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সেটি পটিয়া হয়ে শাহ আমানত সেতুর দিকে রওনা দেয়। পথিমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনাটি।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঘাতক বাসের চালক জাকির হোসেনকে (৩০) আটক করা হয়েছে। জাকির নেত্রকোনা জেলার মদন থানার গোবিন্দ্র ইউনিয়নের মোবারক বাড়ির আবদুল হাশেমের পুত্র। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।