রাঙ্গুনিয়ার আহম্মদ কবির নামের এক ইউপি সদস্যপ্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করার অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বায়েজীদ আলম এবং ছাইনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রতন কান্তি শীলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার (২ জানুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য প্রার্থী আহম্মদ কবির জানান, তার ওয়ার্ডে মোট ১৫৬৭টি ভোট গ্রহণ হয়। ভোট গণনার পর সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ১২২টি ব্যালট ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের ৯৩টি ব্যালটের হিসাব মিলেনি। তার নির্বাচনী প্রতিনিধি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে বারবার ভোট পুনরায় গুণতে বললেও তিনি তা করেননি এবং ব্যালটের হিসাব না দিয়ে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে ভোট কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। কেন্দ্রে ঘোষিত ফলাফল ও ভোটের হিসাবে গরমিল থাকায় ভোট পুনরায় গণনা বা পুনঃনির্বাচন ও ইস্যু করা ব্যালট পেপারের সঠিক হিসাব নির্ণয়ের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর গত ২ ডিসেম্বর আবেদন করেন তিনি। তাতে সাড়া না পেয়ে আহম্মেদ কবির হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশনাও অমান্য করায় আদালত অবমাননার আবেদনটি করেন বলে জানিয়েছেন আহম্মদ কবির।
এই বিষয়ে আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন বলেন, আহম্মদ কবিরের রিটের শুনানি নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর হাই কোর্ট ইসিতে করা আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ফলাফলের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে নির্বাচন কমিশন গত ২৩ ডিসেম্বর ওই ওয়ার্ডের গেজেট প্রকাশ করে। এই অবস্থায় আহমেদ কবির হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট সিইসিসহ পাঁচ কর্মকর্তার প্রতি আদালত অবমাননার ওই রুল দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর ওই ওয়ার্ডে মেম্বার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।