সিআরবি শিরীষতলায় বর্ষবিদায়ের আয়োজন

আজ চৈত্র অবসান

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ at ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ

বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন/ চৈত্র অবসান…/ গাহিতে চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের/ সর্বশেষ গান।’ কবিগুরুর পঙতিগুলোর মতোই চারদিকে বাজছে বর্ষবিদায়ের সুর। আজ চৈত্র সংক্রান্তি, চৈত্রের শেষ দিন। শেষ দিন ঋতুরাজ বসন্তেরও। মহাকালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে আরো একটি বছর। আগমন ঘটবে নতুন বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দের। বাংলা বছরের শেষ দিন হওয়ায় চৈত্র মাসের শেষ দিনটিকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলার বিশেষ লোকজ উৎসব হয় চৈত্র সংক্রান্তির দিনে।

শেষ গান গেয়ে আজ বিদায় নেবে বাংলা ১৪৩১ সাল। আগামীকাল সোমবার সারা দেশে বাঙালি মেতে উঠবে বর্ষবরণের উৎসবে। নতুন দিনের বার্তা নিয়ে আসবে বৈশাখ। বাঙালির জন্য আনবে এক বুক আনন্দ, সুখশান্তি, সমৃদ্ধি আর নতুনের বার্তা। চৈত্র সংক্রান্তিতে বর্ষবিদায়ের মাধ্যমে বাংলা ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানাতে উন্মুখ বাঙালি। বৈশাখকে বরণ করার জন্য চলছে প্রস্তুতি। চৈত্র সংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আদি ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট ধুয়েমুছে বিদায়ী বছরের সব জঞ্জাল, অশুচিতা দূর করেন। বাংলার আকাশে আজ বঙ্গাব্দ ১৪৩১এর শেষ সূর্যোদয়। অতীত বছরের সব জরাজীর্ণ আর মলিনতাকে বিদায় জানাবে বাঙালি। এক সময় গ্রামীণ জনপদের প্রধান উৎসব হলেও কালের প্রবাহে এটি এখন নাগরিক জীবনেও স্থান করে নিয়েছে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে চলে নানা ধরনের মেলা, উৎসব। আয়োজন করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রাসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। বর্ষবিদায় উপলক্ষে আজ নগরীর সিআরবি শিরীষতলাসহ বিভিন্ন স্থানে থাকছে নানা আয়োজন।

সিআরবি শিরীষতলা : সিআরবি শিরীষতলায় নববর্ষ উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে এবারও বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হবে। আজ রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় শিরীষতলা মঞ্চে বেলুন উড়িয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের বিদায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন নববর্ষ উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। বর্ষবিদায় অনুষ্ঠান চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এ সময় নববর্ষ উদযাপন পরিষদের নির্বাহী কমিটি ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

আজ ১৪৩১ বঙ্গাব্দের বিদায় অনুষ্ঠানের পর আগামীকাল পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে। অনুষ্ঠান চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এতে চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং আবৃত্তি ও নৃত্যদল তাদের দলীয় পরিবেশনা উপস্থাপন করবে।

চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে বাংলার পথেপ্রান্তরে মেলা হয়। বর্তমানে শহুরে সভ্যতার বিস্তৃতির কারণে আবহমান গ্রামবাংলার সেই আনন্দমুখর পরিবেশে কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে এখন শহর ও তার আশপাশের এলাকায় নগর সংস্কৃতির আমেজে চৈত্র সংক্রান্তির উৎসব হয় ও মেলা বসে, যা সর্বজনীন মিলনমেলায় রূপ নেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপহেলা বৈশাখ বৃষ্টি হতে পারে
পরবর্তী নিবন্ধচুরি হওয়া কাভার্ডভ্যানসহ ৪০ লাখ টাকার গার্মেন্টস পণ্য উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২