তিন বছর আগে নগরীর সিআরবি সাত রাস্তার মোড় থেকে ১০০ স্বর্ণের বার উদ্ধার মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ চার্জগঠনের মাধ্যমে ১০ আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়ে গেল। এর মধ্যে চারজন ঘটনার পর থেকে পলাতক। বাকীরা আদালত কক্ষে হাজির ছিলেন। আগামী ২৭ মার্চ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
অভিযুক্তরা হলেন ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার মেলেং বাজার এলাকার প্রবেদ সাহা চৌধুরীর ছেলে পংকজ সাহা চৌধুরী (৪০), রাউজান থানার নোয়াপাড়া নিরামিশ পাড়ার মৃত হাজি আমিনুল হকের ছেলে আশরাফুল হক রুবেল (৩৭), নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সুতার পাড়ার মৃত পরেশ চন্দ্র সাহার ছেলে প্রণয় কুমার সাহা প্রকাশ লাবু (৫৯), চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার বায়েক এলাকার মৃত নারায়ণ চন্দ্র সেনের ছেলে বিশ্বজিত কুমার সেন প্রকাশ বঙ্গ (৩৮), কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার গোবিন্দপুর এলাকার ঠাকুর বাড়ির মৃত চন্দ্র রায়ের ছেলে গোপাল চন্দ্র রায় (৩৮), লোকনাথ রায় (৪৮), মো. বিল্লাল হোসেন কাদের (২৮), মো. রাসেল (২৫), সাতকানিয়া থানার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের কাজির পাড়া আশরাফ মিয়ার বাড়ির মৃত আশরাফ মিয়ার ছেলে মো. লোকমান গনি (৪৮), রাঙ্গুনিয়া থানার পদুয়া ইউনিয়নের কমলাছড়ি এলাকার মৃত নূর আহম্মদের ছেলে আমিনুল হক বাবুল প্রকাশ আলমাস বাবুল (৫৬)।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৩ মার্চ কোতোয়ালি থানাধীন সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে একটি প্রাইভেটকার থেকে ১০০ স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ তখন গাড়িটিকে থামায়। এক পর্যায়ে গাড়িতে থাকা প্রণব কুমার সাহা ও ড্রাইভার বিল্লাল হোসেন পালানোর চেষ্টাও করেন। এ ঘটনায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. ইউসুফ ভুঁইয়া বাদী হয়ে গ্রেপ্তার দুজনসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম। তিনি একই বছরের ৩০ জুন এজহারভুক্ত দু’জনসহ মোট জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।