ব্রিটিশরা ১৮৯৯ সালে সবুজে ঘেরা চোখ জুড়ানো পাহাড়ী এলাকা চট্টগ্রামবাসীর বিশুদ্ধ বায়ুসেবনের ফুসফুসখ্যাত ও সাংস্কৃতিক প্রেমিকদের মিলনস্থল সিআরবি‘তে প্রতিষ্ঠিত করেছিল আসাম রেলওেয়ের পূর্বাঞ্চাচলের সদর দফতর। যুগ যুগ ধরে সিআরবি তার শতাব্দী প্রাচীন বিভিন্ন গাছপালা, পাখি আর রমণীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের গুণে মুগ্ধ করেছে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটক আর বটবৃক্ষের ছায়ায় দেহ– মনকে সুশীতল করতে ক্লান্ত নগরবাসীকে।
সময়ের সাথে এই স্থানটি চট্টগ্রামের বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতি প্রেমিকদের মিলনস্থলে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংগঠন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে দেশে ও বহির্বিশ্বে আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার সাথে সাথে সমৃদ্ধ করছে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির ভাণ্ডারকে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হঠাৎ করেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সিআরবি‘তে উন্মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার মিলন স্থানের ঘণ্টা প্রতি ভাড়া নির্ধারণ করে সামাজিক ও সংস্কৃতি প্রেমিকদের হৃদয়কে বেদনাহত করেছে।
আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রামের প্রশাসনিক দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের কাছে অনুরোধ করছি সিআরবি‘র শিরীষতলাকে অযৌক্তিক ভাড়ামুক্ত করে সংস্কৃতি প্রেমিকদের জন্য যেন উন্মুক্ত করা হয়।
আবদুর রহিম
মতিয়ারপোল,
কমার্স কলেজ রোড।












