নগরীর আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলায় সিআইডিও (পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ) চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। গত ৩০ জানুয়ারি দাখিলকৃত এ চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধেও গতকাল নারাজি পিটিশন দাখিল করেছে তাসফিয়ার পরিবার। চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহাম্মদ ইব্রাহীম খলিলের আদালতের এ নারাজি পিটিশন দাখিল করা হয়। আগামী ২৩ মার্চ এ নারাজি পিটিশনের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। নগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার অধীনে থাকা পতেঙ্গা জিআরও শাখায় কর্মরত পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ রহমত দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্র জানায়, তাসফিয়া হত্যা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। সর্বশেষ তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ডিবি পুলিশ ও পিবিআই তদন্ত শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল। সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি সিআইডিও তাসফিয়া হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ করা হয় তাসফিয়াকে কেউ হত্যা করেনি বরং সে আত্মহত্যা করেছে।
আদালত সূত্র আরো জানায়, ২০১৮ সালের ১ মে কাউকে না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায় সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল তাসফিয়া আমিন। নগরীর বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুলের ছাত্র বন্ধু আদনান মির্জার সঙ্গে গোল পাহাড় মোড়ের চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্টে যায় সে। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬ টা ৩৭ মিনিটে বের হয়ে একা সিএনজি টেক্সিতে উঠে তাসফিয়া। পরদিন ২ মে নগরীর পতেঙ্গার নেভাল একাডেমির কাছে কর্ণফুলী নদী তীরে থাকা পাথরের উপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ মে আদনান মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন। একই দিন সন্ধ্যায় নগরের মুরাদপুর থেকে তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।