মানবাধিকার সুরক্ষার সাথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সামঞ্জস্য বজায় রেখে আগামি দিনের বাণিজ্য কাঠামো নির্ধারণ করা সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর বর্তমানে নির্ভর করছে উন্নয়নশীলসহ ছোট বড় অনেক দেশের বিনিয়োগ অবস্থা। তাই ব্যবসাসহ সর্বত্রই মানবাধিকার সমুন্নত রাখার কোনো বিকল্প নেই।
চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউ) অনুষ্ঠিত ‘মানবাধিকার এবং ব্যবসা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে এমনই কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও বক্তারা।
সম্প্রতি সিআইইউর স্কুল অব ল অনলাইনে ব্যবসার সঙ্গে মানবাধিকারের নানান সম্পর্ক ও করণীয়গুলো তুলে ধরতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে বদলে যাচ্ছে ব্যবসা ও মানবাধিকারের সংযোগ। কর্পোরেট বিশে^র হাতে এখন বিনোয়োগ, বাণিজ্য এবং কর্মসংস্থানের ভাগ্য অনেকখানি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের যেন উদ্বেগ না বাড়ে, সেদিকে এখন নজর বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে বৈদেশিক বিনিয়োগ, ব্যাংকিং, মূলধন, মজুরি, নিরাপত্তা, শ্রমিক অধিকার, মুক্ত বাণিজ্য, প্রযুক্তিগত প্রভাবসহ নানান দিকগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। এতে বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়া, ভারত এবং গিনিয়ার গবেষকরা তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠান উদ্বোধনে সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী এই ধরণের আয়োজনের প্রশংসা করেন। স্কুল অব ল’র সহকারি ডিন মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে আরও বক্তব্য দেন অনুষদের উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন ও মালয়েশিয়ার উতারা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ল’র অধ্যাপক ড. রোহানা আবদুল রহমান।
দু পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন স্কুল অব ল’র প্রভাষক রামিসা জাহান এবং মো. হাসনাত কবীর ফাহিম।