বেশ অনেক দিনের টানাপোড়েন শেষে সাইমন টাফেলের নিয়োগ অবশেষে চূড়ান্ত করতে পেরেছে বিসিবি। বাংলাদেশের ম্যাচ অফিসিয়ালদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ নিবিড়ভাবে আরও নানা কাজ করবেন আইসিসির সাবেক বর্ষসেরা আম্পায়ার। টফেল একসময় অবিসংবাদিতভাবেই ছিলেন বিশ্বের সেরা আম্পায়ার। আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার ডেভিড শেফার্ড ট্রফি চালুর পর প্রথম পাঁচ বছরই সেটি টানা জিতেছিলেন এই অস্ট্রেলিয়া আম্পায়ার। এখনও টানা তিনবারের বেশি কেউ জিততে পারেননি তা। গত ১ জুলাই বিসিবি জানিয়েছিল, টফেলের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করতে যাচ্ছে বোর্ড। তবে এরপর পারিশ্রমিক নিয়ে টানাপোড়েন অপেক্ষা করতে হয় অনেকটা সময়। অবশেষে সোমবার সিলেটে বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভায় চূড়ান্ত হয় ৫৪ বছর বয়সী এই সাবেক আম্পায়ারের নিয়োগ। তবে চুক্তিটি এখন দুই বছরের। সভা শেষে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন জানান, বাংলাদেশের ম্যাচ অফিসিয়ালদের নিয়ে বিশদভাবে কাজ করবেন টফেল। বাংলাদেশের আম্পায়ারিং, ম্যাচ রেফারি, ম্যাচ অফিসিয়ালস সংক্রান্ত যে বিভাগটি আছে, সেখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকায় আমরা তাকে (টফেল) দেখতে পারব। দুই বছরের জন্য তাকে চুক্তিতে আনা হয়েছে। ম্যাচ অফিসিয়ালদের মধ্যে যত সেক্টর আছে, যত ভাগ আছে, এই দুই বছরে সব ভাগেই সে কাজ করবে। সেখানে আম্পায়ারদের পর্যালোচনা, মূল্যায়ন, গ্রেডিং, এই সবকিছুই সে করবে। বিসিবির আশা, টফেলর কাচ থেকে শিখে দেশের ম্যাচ অফিসিয়ালরা এমন জায়গা যাবেন যে, ভবিষ্যতে আর দেশের বাইরের কোনো বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হবে না।
স্থানীয় কিছু টেকনিক্যাল লোকজনকে সে পাশে রাখবে, যারা একসময় তার কাছ থেকে ব্যাপারগুলি বুঝে নেবে এবং আমরা হয়তো ভবিষ্যতে কিছুটা স্বয়ংপূর্ণ হব এবং টফেল যখন থাকবে না, তখন এই কাজ চলমান থাকবে আমাদের নিজস্ব রসদের মাধ্যমে। আম্পায়ার হিসেবে খ্যাতি, পারফরম্যান্স ও গ্রহণযোগ্যতা চূড়ায় থাকা অবস্থায়ই ২০১২ সালে মাত্র ৪১ বছর বয়সে আম্পায়ারিং থেকে অবসর নেন টফেল। দায়িত্ব নেন তিনি আইসিসির আম্পায়ার পারফরম্যান্স ও ট্রেনিং ম্যানেজারের। সেই ভূমিকায় ছিলেন ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর বিশ্বের নানা জায়গায় আম্পায়ারিং সংক্রান্ত পরামর্শক হিসেবে টুকটাক কাজ করেছেন নানা সময়ে। এই বছরের শুরুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএল টি–টোয়েন্টিতে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। পরে আম্পায়ারিং করেছেন সাবেকদের একটি ক্রিকেট আসরে।